পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়ার অভিযোগ সম্পর্কে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
ছবি: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফেসবুক থেকে নেওয়া

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার অপব্যাখ্যার বিষয়ে তারা অবগত।

গতকাল শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এই প্রতিক্রিয়া জানান।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত বুধবার মস্কোতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনার বিষয়ে বিরোধী দলের এক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো দলকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের কোনো দলকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দেয় না।’

মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিন্ন লক্ষ্য পূরণে এবং বাংলাদেশিদের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মীরা সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং ভবিষ্যতেও  রাখবে।

রুশ মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করেন, অক্টোবরের শেষের দিকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও বিরোধী দলের উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধির মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে তথ্য জনসমক্ষে এসেছে। ওই বৈঠকে তাদের মধ্যে দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তাঁর কথোপকথনের সময় এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে কর্তৃপক্ষ ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে’ অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করলে তথ্যসহায়তা প্রদান করবে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং আরও কয়েকটি দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ওই আশ্বাস দিয়েছে বলে কথিত রয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন কর্মকাণ্ডকে কীভাবে দেখা উচিত, সে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন তৎপরতা একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চরম হস্তক্ষেপ। এমন তৎপরতা কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে ১৯৬১ সালের ভিয়েনা সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

জাখারোভা বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুসরণ করে স্বাধীনভাবে ও বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা ছাড়াই যে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম, তা নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই।’