তুরস্কে ১০ হাজার কম্বল ও ১৫ টন শুকনা খাবার পাঠিয়েছে বাংলাদেশ

তুরস্কের আদিয়ামান শহরে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল
ছবি: ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সৌজন্যে

ভূমিকম্পে দুর্গতদের জন্য তুরস্কে দুই হাজার তাঁবু পাঠানোর পর এবার নতুন করে আরেক দফা ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দফায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ১০ হাজার কম্বল ও সাড়ে ১৫ টন শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে। গতকাল শনিবার তুরস্কে এসব ত্রাণ পৌঁছেছে। তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে আরও তাঁবু চাওয়ায় বিষয়টি বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তুরস্কে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর গত বুধবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্ধারকারী দল এবং দুই হাজার তাঁবু পাঠানো হয়। বেশ বড় আকৃতির একেকটি তাঁবুতে ১০ থেকে ১২ জন অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে পাঠানো কম্বলগুলো একটি পরিবারের ব্যবহারের মতো বড় আকৃতির।

এ ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দেওয়া কম্বল ও তাঁবুগুলো তুরস্কে পৌঁছানো হয়েছে। কেক, বিস্কুটসহ নানা ধরনের শুকনা খাবার প্যাকেট করে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে যাতে আমরা আরও সহায়তা দিতে পারি, সেই প্রস্তুতিও আমাদের আছে।’

বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলটি এরই মধ্যে ভূমিকম্পে তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে। গত শুক্রবার একটি শিশুকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করেন বাংলাদেশি উদ্ধারকারীরা। ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্য তুরস্কের উদ্দেশে রওনা দেন। বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে ৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে তুরস্কের আদানা মিলিটারি এয়ার বেইসে পৌঁছায়। সেখান থেকে আদিয়ামান শহরে পৌঁছানোর পর অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ শুরু করে তারা।

আরও পড়ুন