কারাগার
প্রতীকী ছবি

জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৪৭২ টাকা আত্মসাতের মামলায় দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। ১৯৯৩ সালে এই টাকাগুলো তোলা হয়।

দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বায়েজিদ বোস্তামী চা বোর্ড শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শাহেদ হাসানকে মোট ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। অপর দিকে তাঁর স্ত্রী রেজিয়া সুলতানাকে ৮ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার অপর আসামি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মীর কাশেমকে মোট ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর নয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী আরও বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে রায় দেওয়া হয়। এ ছাড়া একই রায়ে তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয় এবং বিচারপ্রক্রিয়া চলা অবস্থায় তিন আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই জাল করে ভুয়া এফডিআর ও ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৪৭২ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ১৯৯৩ সালের ২৮ জুন থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত এই টাকাগুলো তোলা হয়।

এ ঘটনা ধরা পড়লে ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চা বোর্ড শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক আকিকুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে ৯ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০০০ সালের ২৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত মঙ্গলবার এই রায় দেন।