গুলশানে সাংবাদিক জহিরুলকে হেনস্তাকারী পুলিশের এসআইয়ের শাস্তি দাবি

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক জহিরুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। সংগঠনটির সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল আজ মঙ্গলবার এই দাবি জানান।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমএসএফ জানায়, গত রোববার রাতে গুলশানের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন কালের কণ্ঠের প্রতিবেদক জহিরুল ইসলাম। এ সময় গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গণমাধ্যমসূত্রে আরও জানা যায়, সেদিন ওই এসআই আরও কয়েকজন সাংবাদিককে মারধর করেন।

এমএসএফ মনে করে, একজন সাংবাদিকের ওপরে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অন্যায় ও অনভিপ্রেত। সরকারের নীতি যেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেখানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যদের এহেন আচরণ প্রমাণ করে যে এদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও তথ্য পাওয়ার অধিকারের ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। যা গণতন্ত্র ও অবাধ মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকিস্বরূপ।

এদিকে, সাংবাদিক জহিরুলকে হেনস্তাকারী পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেছে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি। সংগঠনটির সভাপতি মুরসালিন নোমানি ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জহিরুল গুলশান-২ এর আগুনের ঘটনা নিয়ে কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেজে লাইভ করার সময় গুলশান থানার এক এসআই তাঁকে মারধর করেন।