সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া দুই নারীর অবস্থা উন্নতির দিকে

সারাহ ইসলাম
ফাইল ছবি

সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া দুজন নারী এখনো হাসপাতালে আছেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। দুটি পৃথক হাসপাতাল সূত্রে এ কথা জানা গেছে।

দুজন নারীর একজন চিকিৎসাধীন আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। অন্যজন চিকিৎসা নিচ্ছেন বেসরকারি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। আজ সোমবার সকালে কিডনি প্রতিস্থাপন চিকিৎসক দলের প্রধান ও ইউরোলজি বিভাগের প্রধান মো. হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুজন রোগীর সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। বলা যায়, তাঁদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।’

আরও পড়ুন

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন নারীর স্বামী আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। স্ত্রীকে এখন আর ডায়ালাইসিস দেওয়া লাগছে না। স্ত্রীর সঙ্গে তিনি নিয়মিত দেখা করেন, কথা বলেন।

১৮ জানুয়ারি বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউতে ‘মস্তিষ্ক মৃত’ ঘোষিত সারাহ ইসলামের দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া চারজন মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। একটি কিডনি বিএসএমএমইউতে একজন নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। অন্য কিডনি নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে এবং সেটা অন্য এক নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন

চিকিৎসকদের সূত্র জানিয়েছে, বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন নারীর শারীরিক পরিস্থিতি ভালো। রক্তে ক্রিটেনিনের পরিমাণ কমে আসছে। সেই তুলনায় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারীর শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ বলা যায়। তার রক্তে ক্রিটেনিনের পরিমাণ বেশি এবং তাকে ডায়ালাইসিস দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। তবে চিকিৎসকেরা এ-ও বলেছেন যে প্রতিস্থাপন করা রোগীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।

আরও পড়ুন

চিকিৎসকেরা সারাহ ইসলামের দুটি কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেছিলেন একজন নারী ও একজন পুরুষের চোখে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ওই দুই নারী ও পুরুষ ভালো আছেন। তাঁদের দৃষ্টিশক্তিও স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

সারাহ ইসলাম বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি, যার মৃত্যুর আগেই তাঁর দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া অন্যের শরীরে প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত দেন তাঁর মা শবনম সুলতানা।

আরও পড়ুন