দেশে থাকা বৈধ ও অবৈধ বিদেশি কর্মীর প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণের নির্দেশ

হাইকোর্টফাইল ছবি

দেশে অবস্থানরত বৈধ ও অবৈধ বিদেশি কর্মীদের প্রকৃত সংখ্যা অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরূপণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসব বিদেশি কর্মী কীভাবে ও কোন চ্যানেলের মাধ্যমে তাঁদের অর্থ দেশের বাইরে পাঠান, সে বিষয়েও অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

‘বাংলাদেশে ১০ লক্ষাধিক অবৈধ বিদেশি শ্রমিক, তাড়াতে হবে’ এবং ‘অবৈধ বিদেশি কর্মীদের ফেরত পাঠানোর দাবি’ শিরোনামে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পৃথক দুটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। ‘বাংলাদেশ থেকে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যায় বিদেশি কর্মীরা’ শিরোনামে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনসহ এ বিষয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মীর মোহতাসিম ইসলামসহ চাকরিপ্রত্যাশী চারজন ২০ মে রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসাদুজ্জামান ও আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় প্রথম আলোকে বলেন, দেশে বৈধ ও অবৈধ বিদেশি কর্মীদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণে এবং বিদেশি এসব কর্মী কীভাবে ও কোন চ্যানেলের মাধ্যমে তাঁদের অর্থ দেশের বাইরে পাঠান—অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে থাকা অবৈধ বিদেশিসহ অননুমোদিত বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। তিনি জানান, অর্থসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।