ঝিনাইদহ-১ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে আবদুল হাইয়ের কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই

মো. আবদুল হাই

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আবদুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রকাশিত গেজেট স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবদুল হাইয়ের করা আবেদনটি আগামী ১৩ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনে নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর করা নির্বাচনী আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট মো. আবদুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে ইসির গেজেট দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন। ফলে সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর কার্যক্রম পরিচালনা আটকে যায়। ঝিনাইদহ–১ আসনে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম হাইকোর্টে ওই নির্বাচনী আবেদনটি করেন।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মো. আবদুল হাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে আবদুল হাইয়ের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ এবং আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন শুনানিতে ছিলেন। অন্যদিকে নজরুল ইসলামের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি ও মুরাদ রেজা এবং আইনজীবী মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান শুনানিতে ছিলেন।

আরও পড়ুন

আদেশের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশ ১৩ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে সেদিন আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে সংসদ সদস্য হিসেবে মো. আবদুল হাইয়ের কার্যক্রম চালাতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ জানুয়ারি ভোট হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের ফলাফলের গেজেট ৯ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়। ঝিনাইদহ-১ আসনে ৯৪ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে মো. আবদুল হাই বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম (ট্রাক প্রতীক) ৮০ হাজার ৫৪৭ ভোট পান। দ্বাদশ সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন ১০ জানুয়ারি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ৩০ জানুয়ারি।