সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ভূমিকা রাখবে: রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ
সড়ক দুর্ঘটনা ঠেকাতে মোটরযান গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা–২০২৪ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ। সড়ক নিরাপত্তায় কাজ করা বেশ কয়েকটি সংস্থা ও সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই জোট আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই মত দিয়েছে। জোটের পক্ষে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)–এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই), নিসচা, ব্র্যাক, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন ও রিসার্চ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ অর্থোপেডিক্স সোসাইটি, বিএনএনআরসি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্য।
গত রোববার ‘মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোড সেফটি কোয়ালিশন মনে করে, বর্তমান সরকার দেশের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখলেও সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। এই নির্দেশিকার যথাযথ বাস্তবায়ন হলে তা ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
নির্দেশিকার কিছু বিষয়ে, বিশেষ করে মোটরসাইকেলের গতিসীমা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নজরে এসেছে উল্লেখ করে এই জোট বলছে, গ্রামাঞ্চল ও শহরের জন্য মোটরসাইকেলের গতিসীমা নির্ধারণ করায় সড়কে চলাচলের জন্য শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা উপকৃত হবেন। আবার মোটরসাইকেলের গতি কম থাকার ফলে দুর্ঘটনা ঘটলেও হতাহত কম হবে। গতি কম থাকার ফলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে, যা অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এড়াতে সহায়তা করবে।