সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে সরছে শাহবাগ থানা

শাহবাগ থানাফাইল ছবি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে সরছে শাহবাগ থানা। এখন শাহবাগ থানার নতুন ঠিকানা হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পার্শ্ববর্তী রমনা মৌজার সাকুরা রেস্তোরাঁ এলাকায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের জন্য এটি সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, রমনা মৌজার ৩৫ নম্বর দাগে ৩৯ দশমিক ৭ শতক জমি আছে, সে জায়গায় হবে শাহবাগ থানা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সুবিধার্থে ওই জায়গা (শাহবাগ থানার বর্তমান জায়গা) তাদের দরকার। তারা উপস্থাপন করেছে, এ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করার চেষ্টা করছিল, কিন্তু তারা একমত হতে পারছিল না। সে জন্য মন্ত্রিসভায় আনা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়েছে।

কত দিনের মধ্যে স্থানান্তর হবে, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হবে।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলে আসছিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের নির্মাণসংশ্লিষ্ট অধিকাংশ কাজ মূলত শাহবাগসংলগ্ন এলাকায়। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ভাস্কর্যের দৃশ্যমানতা ব্যাহত হবে। আবার এ প্রকল্পের এলাকায় শাহবাগ থানা হওয়ায় এটি স্থানান্তর করা না হলে প্রকল্পটির নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলাসহ সার্বিক কার্যক্রমের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে অসুবিধা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় গত মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এক চিঠি দিয়েছিল। তাতে বলা হয়, স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের সুবিধার্থে প্রকল্প এলাকার অভ্যন্তর থেকে শাহবাগ থানা সরানো জরুরি।

জানা যায়, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়। এখন মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিল।