আগামী কয়েক মাস গুরুত্বপূর্ণ, অবহেলা করার সুযোগ নেই: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

গোলটেবিল বৈঠকে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনেছবি: প্রথম আলো

আগামী কয়েক মাস বা কয়েক সপ্তাহ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, এ সময়কে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। যৌথভাবে সরকার, রাজনৈতিক দল, সেনবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জাতীয় ঐক্য দেখানোর এটিই সময়।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার: অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

বৈঠকে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, জাতীয় ঐক্য ছাড়া গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। জাতীয় ঐক্যকে এখন গড়ে তোলা দরকার।

গত দুই মাসে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে আঞ্চলিক প্রাক্‌-নির্বাচনী পরামর্শ সভা করেছেন জানিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নাগরিকদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন নির্বাচন। সবাই বলেছেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, নাগরিকদের মনে দুটি শব্দ খুব বড়ভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে—একটি ‘অংশগ্রহণমূলক’, অন্যটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’। এই শব্দ দুটির রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন নাগরিকেরা। এই দুটি সূচকের ব্যাখ্যা যদি না পাওয়া যায়, তাহলে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে এর গুণমান নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক শুরু হবে।

নাগরিকেরা নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধু ভোটের আগে নয়; বরং নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার হাত থেকে সুরক্ষার ব্যাপারে আতঙ্কে আছে তারা।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া অস্ত্রের বহু অংশ এখনো বাইরে রয়ে গেছে। সীমান্ত দিয়েও অস্ত্র আসছে বলে শোনা যাচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধারের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর আরও অগ্রণী ভূমিকা দেখতে চায় নাগরিকেরা।

গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাবেক বিচারপতি এম এ মতিন। কি–নোট স্পিকার ছিলেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ওয়ারেসুল করিম প্রমুখ।