শিক্ষকের বাসার সামনে হাতবোমা বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বাসার সামনে হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে দক্ষিণ ক্যাম্পাসের ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মো. আবু তাহেরকে চিঠি দিয়েছেন ওই শিক্ষক।

ওই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, রাত দুইটার দিকে তাঁর বাসার সামনে ১৬ থেকে ১৭ জন তরুণ ৬ থেকে ৭টি মোটরসাইকেলে চড়ে আসেন। ওই তরুণেরা তাঁর নাম ধরে উচ্চস্বরে গালাগাল করেন। ওই সময় তিনটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রায় সাত থেকে আট মিনিট তরুণেরা অবস্থান করার পর সেখান থেকে চলে যান।

জানতে চাইলে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কোটা আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফেসবুকে বিভিন্ন সময় লেখালেখি করেছি। গত ১৯ জুলাই একটি মানববন্ধনেও বক্তব্য দিয়েছি। এসব কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে। একটা পক্ষ আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চেয়েছি।’

মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, বাসার সামনের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরায় এসবের ফুটেজ রয়েছে। তিনি এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বন্ধ ক্যাম্পাসে এত মোটরসাইকেল ঘোরাফেরা করছে, পুলিশ চাইলে এসবের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারত।

শিক্ষক মোজাম্মেল হকের দেওয়ার চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, তিনি চিঠি পেয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রক্টরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ অহিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তবে হাতবোমার কোনো আলামত পাননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে ওই সময় বিকট শব্দ হয়েছিল। ক্যাম্পাসে অনেক সময় বিভিন্ন সময় পটকা ফাটানোর ঘটনা ঘটে।

প্রক্টর বলেন, পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। কোনো বহিরাগত যেন ক্যাম্পাসে না ঢুকতে পারে, এ ব্যাপারে অধিক সতর্ক থাকবে পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা। যেহেতু এ বিষয়ে তাঁরা চিঠি পেয়েছেন। তাই তদন্ত কমিটি করতে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।