খুলনা থেকে ২২৫ যাত্রী নিয়ে ছুটল সুন্দরবন এক্সপ্রেস

ট্রেন
প্রতীকী ছবি

খুলনা থেকে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার দিকে গেছে সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন। বুধবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে খুলনা রেলস্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে খুলনা ছেড়ে যায়। প্রথম দিনে খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া ওই ট্রেনে যাত্রী ছিলেন ২২৫ জন।

খুলনা রেলস্টেশনের মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস রুট পরিবর্তন করে পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। নতুন এই রুট পরিবর্তনের ফলে আগের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। একই সঙ্গে সময় কমবে অন্তত দুই ঘণ্টা। বুধবার ২২৫ জন যাত্রী নিয়ে খুলনা ছেড়েছে ট্রেনটি।

মাসুদ রানা জানান, খুলনা থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সুন্দরবন ট্রেনটি ছেড়ে গেছে। ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। এদিকে ঢাকা থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে খুলনায় এসে পৌঁছাবে। নতুন এই রুটে ট্রেন চলাচলের খবরে যাত্রীদের আগ্রহ বেড়েছে।    

খুলনা রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, সুন্দরবন ট্রেনটি ১৩টি কোচ নিয়ে যাতায়াত করবে। রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা ৮৬০। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি বার্থ ৪৮টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি। আর ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রেনের আসন সংখ্যা ৯০৮। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি সিট ৯৬টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি।

প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার ট্রেনে যাত্রী হতে পেরে খুশি যাত্রীরাও।
খুলনার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সারোয়ার হোসেন। তিনি বেশির ভাগ সময় ট্রেনে করে ঢাকায় যাতায়াত করেন। তবে আজকের সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি তাঁর কাছে একটি ভিন্ন অনুভূতি দিয়েছে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় যাব কখনো কল্পনাও করিনি। ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব খুব বেশি না হলেও আগে ট্রেন ঘুরে যেত সেই মুল্লুক হয়ে। এখন আড়াআড়ি ট্রেন যাবে, ব্যাপারটি ভাবতেই অনেক ভালো লাগছে। আগের চেয়ে সময়ও কম লাগবে।