সাংবাদিক অভিশ্রুতির মরদেহ বুঝে পেলেন বাবা

সাংবাদিক অভিশ্রুতিছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ বুঝে পেল তাঁর পরিবার। অগ্নিকাণ্ডের ১১ দিন পর আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিশ্রুতির মরদেহ তাঁর বাবা সবুজ শেখের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এর আগে গতকাল রোববার সিআইডি জানিয়েছিল, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাবা সবুজ শেখ ও মা বিউটি খাতুনের ডিএনএর মিল পাওয়া গেছে। অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে ঢাকার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করতেন এই তরুণী। তবে বাবা-মায়ের দেওয়া তাঁর নাম ছিল বৃষ্টি খাতুন।

আরও পড়ুন

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। তাঁদের ৪৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী এবং নাজমুল হোসেন নামে দুজনের মরদেহের একাধিক দাবিদার থাকায় তাঁদের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।

আজ অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ পাওয়ার পর তাঁর বাবা সবুজ শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমিই তাঁর বাবা। আল্লাহর কাছে হাজার হাজার, লাখো কোটি শুকরিয়া করছি।’  

সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুনের তিন মেয়ে। অভিশ্রুতি ছিলেন সবার বড়। তাঁকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানালেন বাবা সবুজ শেখ।

অভিশ্রুতির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা নিয়ে সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহের একাধিক দাবিদার ছিল। তাই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ডিএনএ পরীক্ষা করার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হলো।

আরও পড়ুন