জন্মগত হৃদ্রোগের চিকিৎসা পেল ১০০ দরিদ্র শিশু
ইচ্ছা থাকলে ব্যয়বহুল হাসপাতালেও দরিদ্র মানুষের জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব। এভারকেয়ার হাসপাতালে বিনা মূল্যে ও স্বল্পমূল্যে ১০০ জন দরিদ্র শিশুর জন্মগত হৃদ্রোগের চিকিৎসা করেছেন শিশু হৃদ্রোগ শল্যবিদ তাহেরা নাজরিন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করে, এটি অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নোয়াখালীর দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে রাবেয়ার বয়স পাঁচ বছরের কম। সংসার চালাতে কষ্ট হয়। এরই মধ্যে জানতে পারেন জন্ম থেকেই হৃদ্যন্ত্রে একটি ছিদ্র আছে রাবেয়ার। চিকিৎসকদের সূত্রে জেনেছিলেন, ঢাকা শহরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাহেরা নাজরিন নামের একজন চিকিৎসক বিনা মূল্যে এই ধরনের রোগীর চিকিৎসা করেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে আরও প্রায় ৫০ জন মা–বাবার সঙ্গে নিজের মেয়েকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন দেলোয়ার। ১০০ জন দরিদ্র পরিবারের শিশুকে সফলভাবে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই অনুষ্ঠানে রাবেয়ার চিকিৎসা ও সুস্থ হয়ে ওঠার কথা বলেন দেলোয়ার।
দেশের অন্যতম ব্যয়বহুল হাসপাতাল এভারকেয়ার। শিশুদের জন্মগত হৃদ্যন্ত্রের ত্রুটির চিকিৎসা বিষয়ে বিদেশ থেকে ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৬ সালে এই হাসপাতালে পেশাচর্চা শুরু করেন তাহেরা নাজরিন। গতকালের অনুষ্ঠানে এই শল্যবিদ বলেন, ‘আমার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ শুধু উচ্চবিত্ত শিশুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকুক, তা আমি কখনোই চাইনি।’
অনুষ্ঠানে এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রত্নদ্বীপ চাস্কর বলেন, ‘আমরা মনে করি এটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’ হাসপাতালের সেবা বিভাগের পরিচালক আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশে প্রতিবছর ৪০ হাজার শিশু জন্ম নেয় জন্মগত ত্রুটি নিয়ে। তাদের চিকিৎসায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ আরও বাড়ানো দরকার।’