চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে সড়ক অবরোধে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা
চিকিৎসাসেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন না—এমন অভিযোগ করে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ভেতরে সাড়ে চার ঘণ্টা বিক্ষোভের পর সড়ক অবরোধ করেছে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত একদল ব্যক্তি। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত ১১টায় তাঁরা সড়ক অবরোধ করেন বলে আবির আহমেদ শরীফ নামের একজন বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন।
আবির আহমেদ রাত ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনের সড়কের দুই পাশের রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের কারও এক চোখে আঘাত, আবার কারও দুই চোখে আঘাত লেগেছে। অনেকের আঘাত গুরুতর। কিন্তু তাদের অনেকেই সঠিক চিকিৎসা পাননি। আজ সিঙ্গাপুর থেকে যে চিকিৎসক দল এসেছেন, তাঁরা অল্প সময়ে অনেক রোগী দেখেছেন। এতে তাঁরা মনে করছেন সঠিকভাবে চোখ পরীক্ষা করা হয়নি। এটা অনেকটা লোকদেখানো। এ জন্য তাঁরা সঠিক চিকিৎসার দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন।
বিক্ষোভকারীদের একজন কোরবান শেখ। তিনি ৫ আগস্ট কুষ্টিয়ায় চোখে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর থেকে তিনি শেরেবাংলা নগরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় বৈষম্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কোরবান শেখ। তিনি বলেন, যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদেরকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। কোরবান শেখ আরও বলেন, আহতদের পুনর্বাসনে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। আহত সবাই এখনো আর্থিক সহায়তা পাননি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এর আগেও চিকিৎসার দাবিতে তাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় তাঁদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।