তথ্য অধিকার বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান বক্তাদের

‘বাংলাদেশে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প’ শীর্ষক কর্মসূচির নতুন প্রকল্প পরিচিতি ও অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবিক সম্ভাবনা, বিশেষ করে প্রান্তিক নারীদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-কে সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগানোর জন্য প্রকল্পটি ২০২৮ সালের মধ্যে ১০টি জেলায় বাস্তবায়িত হবে বলে উল্লেখ করা হয় সভায়। গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের সম্মেলনকক্ষে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) আর্থিক সহযোগিতায় দ্য কার্টার সেন্টার ও তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এ আয়োজন করে।

দ্য কার্টার সেন্টারের রুল অব ল প্রোগ্রামের অন্তবর্তী পরিচালক হিলারি ফোর্ডেন অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের অভাব গণতান্ত্রিক শাসনের মৌলিক দিকগুলোকে বাধাগ্রস্ত করে তোলে। এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের পাশাপাশি সরকারগুলোকে ক্রমাগত মানিয়ে নিতে হবে, যাতে করে তারা জনসাধারণের কাছে তথ্য সরবরাহ করে এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডির মিশন ডাইরেক্টর রিড জে অ্যাশলেম্যান। রিড জে অ্যাশলেম্যান প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে মানুষের জীবনমানের অগ্রগতিতে সবার দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

প্রধান তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক বলেন, ‘আমাদের বর্তমান অবস্থা বুঝতে হবে। যদিও অগ্রগতি হয়েছে, তবে বাংলাদেশের অনেক নারী এখনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এটি কেবল সুবিধার বিষয় নয়, এটি অর্থনৈতিক সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায়ন সর্ম্পকে। তথ্য আমাদের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।’
বিজ্ঞপ্তি