আগের রাতে ভোট হবে না, তার শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি: সিইসি

প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পিটিআই কেন্দ্রেছবি: প্রথম আলো

আগের রাতে ভোট না হওয়ার বিষয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘আগের রাতে ভোট—যেসব কথা হয়েছে, তা ৯৯ নয়, ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে পারি, সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না। এ জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ব্যালট পেপার সকালে যাবে।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পিটিআই মিলনায়তনে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সিইসি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি নগরের এলজিইডি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সিইসি হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ভোট চলাকালে যদি কোনো পেশিশক্তির উদ্ভব ঘটে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত হওয়ার পর কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেবেন। প্রার্থীদের বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হবে না। ভোট আরেক জায়গায় চলে যাওয়ার যে আশঙ্কা নেই, তা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আচরণে প্রার্থীরা সন্তুষ্ট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ করার পর কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। ছয়টি জায়গা ঘুরে তিনি এমন চিত্র পেয়েছেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা অধিকতর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য বলেছি, ব্যালেট পেপার আমরা সকালে পাঠাব। পোলিং এজেন্টরা সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে দেখে নেবেন যে বাক্স খালি আছে কি না। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত (কাউন্টিং ও ডিক্লারেশন) তাঁরা ওখানে উপস্থিত থেকে দেখবেন গণনা সঠিকভাবে হয়েছে কি না।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যদি প্রতিটি কেন্দ্রে গণনা সঠিকভাবে হয়ে যায়, তাহলে নিশ্চিতভাবে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়ে গেল। আর যদি মাঝখানে কোনো পেশিশক্তির উদ্ভব ঘটে, সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করবেন। আমরা সেসব কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেব। এভাবে আমরা প্রত্যেক প্রার্থীকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি। ওনারা অনেকে আশ্বস্ত হয়েছেন।’

সভায় নির্বাহী প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করেছেন বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের বলেছেন ভোটকেন্দ্রে যাতে কোনো অননুমোদিত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারেন, তা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই এ বিষয় সহ্য করা যাবে না বলে কঠোর বার্তা দিয়েছেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যেকোনো প্রকারে আস্থাভাজন হবে বলে দাবি করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, মিডিয়াকর্মীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে থাকবেন না, ভেতরে থাকবেন। ভিডিও-ছবি তুলতে পারবেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে না, সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন। পর্যবেক্ষকেরাও সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন। মিডিয়া সত্য-মিথ্যা প্রকৃত তথ্যটা জনগণকে তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিতে পারবেন।

বাঁশখালীর আওয়ামী লীগ প্রার্থীর থানার ওসিকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ওসিকে যদি হুমকি দিয়ে থাকেন, তাহলে পুলিশ প্রশাসন বিষয়টা দেখবে।