চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

হাইকোর্টফাইল ছবি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও মাটি কাটা বন্ধে সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

পাহাড় ও কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কাটা নিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ৮ ফেব্রুয়ারি রিটটি করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

হাইকোর্ট লোহাগাড়ায় পাহাড় ও মাটি কাটা বন্ধে সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রুলে লোহাগাড়ায় পাহাড় ও মাটি কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের পরিচালক ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকসহ ৯ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। কেউ যেন পাহাড় কাটতে না পারে, সে বিষয়ে মনিটরিং টিম গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড় কাটায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনের বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।