মেঘনায় এক জাহাজের ধাক্কায় আরেক জাহাজডুবি

ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি রোকনুর–১ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জে যাওয়ার পথে এক জাহাজের ধাক্কায় আরেকটি জাহাজ ডুবে গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় নোয়াখালীর হাতিয়ার গাসিয়াচরে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া জাহাজের ১৩ জন নাবিক প্রাণে রক্ষা পান।

ডুবে যাওয়া জাহাজের নাম এমভি রোকনুর–১। এটি রোকনুর নেভিগেশন লিমিটেডের মালিকানাধীন জাহাজ। জাহাজটিতে প্রিমিয়ার সিমেন্টের দুই হাজার টন সিমেন্ট ক্লিংকার ছিল।

ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার জাকির হোসেন মিয়া আজ বুধবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে মুন্সীগঞ্জে যাওয়ার পথে রাতে ঘন কুয়াশার কারণে হাতিয়ার লোয়ার মেঘনা নদীতে নোঙর করি। এ সময় পেছন দিক থেকে এমভি প্রগতি গ্রিন লাইন–১ এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোকনুর–১ জাহাজের পেছনের হ্যাচে (পণ্য রাখার খোল) ধাক্কা মারে। ধাক্কায় হ্যাচ ফেটে পানি ঢুকে আধা ঘণ্টার মধ্যে জাহাজটি ডুবে যায়। এর আগে সবাই নদীতে ঝাঁপ দিই। যে জাহাজটি ধাক্কা মেরেছে, সেটিতে ওঠে প্রাণে রক্ষা পাই।’

জাকির হোসেন মিয়া বলেন, এমভি প্রগতি গ্রিন লাইন–১ জাহাজটি কাছাকাছি আসার পর ঘণ্টা বাজানো হয়। বাতিও ছিল। গ্রিন লাইনের মাস্টার সেটি দেখে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সবুর খান প্রথম আলোকে বলেন, এক জাহাজের ধাক্কায় এমভি রোকনুর–১ মূল নৌপথে ডুবে গেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে জাহাজ চলাচলে যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য বাতিসহ বয়া স্থাপন করা হয়েছে। সতর্কতার সঙ্গে ওই স্থানটি এড়িয়ে চলার জন্য নৌ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।