স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ ছাড়া টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুমোদন দেওয়ার দাবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে পুরো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনার সরকারের মতো ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ কে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে মনে করছেন ‘সর্বস্তরের নাগরিকেরা’। সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ ছাড়াই দ্রুত অধ্যাদেশটি অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ইন্টারনেট বন্ধের ক্ষমতা স্থায়ীভাবে বিলোপ এবং নজরদারি কাঠামোয় বড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে দীর্ঘদিন মানবাধিকার লঙ্ঘন, অবৈধ নজরদারি ও গুমের অভিযোগে সমালোচিত এনটিএমসি সম্পূর্ণ বিলুপ্তির প্রস্তাবও ছিল। ১২ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সেটি অনুমোদন পায়নি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকাশিত খসড়ার কমপক্ষে দুটি নাগরিক সুরক্ষা সরিয়ে ফেলে আগামী সপ্তাহে আরেকটি নতুন খসড়া উপস্থাপন করা হবে, যা নাগরিকদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা ছাড়াই করা হচ্ছে। নজরদারির মতো একটি স্পশর্কাতর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু হতে চাইছে, যা নাগরিকদের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং হাসিনা আমলের নজরদারি ক্ষমতা পুনরায় চালু হওয়ার বাস্তবতা তৈরি করবে।
বক্তারা আরও বলেন, আড়ি পাতা ও নজরদারির ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, কোন সংস্থাগুলো আড়ি পাতার অনুমোদন পাবে এবং তদারক করবে এবং ক্ষমতার বণ্টন কেমন করে নিরূপণ হবে, তা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা ভয়ংকর হাসিনার দিনগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
মানববন্ধনে মানবাধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেনিন বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে পুরো মন্ত্রণালয় হাসিনার সরকারের মতো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–কেও ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন রাজনৈতিক সংগঠক ও অধিকারকর্মী বাকী বিল্লাহ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রাশা, লেখক ও সংগঠক নাহিদ হাসান, অ্যাকটিভিস্ট রাফসান আহমেদ, সংস্কৃতিকর্মী রহমান মুফিজ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবের আহমেদ জুবেল, ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাছির, সাংবাদিক শতাব্দীকা ঊর্মি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সদস্য আবু বক্কর মঈন প্রমুখ।