সামিয়া রহমানের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। লিভ টু আপিলটি অকার্যকর বলে তা খারিজ করা হয়েছে।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এ আদেশ দেন।

গবেষণা নিবন্ধে ‘চৌর্যবৃত্তির’ অভিযোগে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সামিয়া রহমানকে পদাবনতির সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে দুই বছর পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সামিয়া রহমান ওই বছরের ৩১ আগস্ট রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৪ আগস্ট ওই সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিভ টু আপিল করে, যা আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী নাঈম আহমেদ। সামিয়া রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।

বিনা বেতনে এক বছরের ছুটি মঞ্জুর না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সামিয়া রহমান বাধ্য হয়ে আর্লি রিটায়ারমেন্টের (আগাম অবসর) জন্য আবেদন করেন বলে জানান তাঁর আইনজীবী হাসান এম এস আজিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে সামিয়া রহমানের কাছে কিছু পাওনা পরিশোধের জন্য তাগিদ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত বছরের ৮ অক্টোবর এক চিঠির মাধ্যমে তাঁকে জানায় যে তাঁর আর্লি রিটায়ারমেন্টের আবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট অনুমোদন করেছে। আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় তিনি শিক্ষক পদে নেই। পদ যেহেতু নেই, তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা লিভ টু আপিলটি অকার্যকর বলে তা খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ে সামিয়া রহমানকে আর্থিকসহ চাকরির সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে বলা হয়েছিল। এ অনুসারে তিনি তাঁর প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

আরও পড়ুন