সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ, অপেক্ষা ফলাফলের

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি

দেশের আইনজীবীদের অন্যতম সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (২০২৪-২৫) নির্বাচনে দুই দিনের ভোট গ্রহণ আজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এখন ভোট গণনা শুরু ও ফলাফল ঘোষণার পালা।

গতকাল বুধবার ও আজ ভোট গ্রহণ হয়। দুই দিনই সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।

নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবুল খায়ের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় প্রথম আলোকে বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুই দিনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে ৭ হাজার ৮৮৩ জন ভোটারের মধ্যে দুই দিনে ৫ হাজার ৩১৯ জন ভোট দিয়েছেন। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার রাত নয়টা থেকে ভোট গণনা শুরু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সভাপতি, সহসভাপতি (দুটি), সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, সহসম্পাদক (দুটি) ও সদস্য ৭টিসহ মোট ১৪টি পদে এক বছর মেয়াদের জন্য এ নির্বাচন হয়ে থাকে। ১৪টি পদের বিপরীতে এবার নির্বাচনে ৩৩ জন প্রার্থী হয়েছেন।

সাধারণ আইনজীবীরা বলছেন, সমিতির নির্বাচনে বরাবরই মূলত দুটি প্যানেলের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। একটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্যানেল (সাদা হিসেবে পরিচিত)। অন্যটি বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল হিসেবে পরিচিত)। দুটি প্যানেলের মনোনীত প্রার্থীরা ছাড়াও এবার আরও কয়েকজন প্রার্থী হয়েছেন।

সাদা প্যানেলের প্রার্থী যাঁরা

তফসিল ঘোষণার পর ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ তাদের প্রার্থীদের (সাদা প্যানেল) নাম ঘোষণা করে। এই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে আবু সাঈদ সাগর, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, সহসভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার ও দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী, সহসম্পাদকের দুটি পদে মো. হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রার্থী হয়েছেন। সদস্যের সাতটি পদে মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, মাহমুদা আফরোজ, মো. বেলাল হোসেন, খালেদ মোশাররফ, মো. রায়হান রনি, সৌমিত্র সরদার ও রাশেদুল হক খোকন প্রার্থী হয়েছেন।

নীল প্যানেলের প্রার্থী যাঁরা

১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে এ এম মাহবুব উদ্দিন, সম্পাদক পদে মো. রুহুল কুদ্দুস, সহসভাপতি পদে মো. হুমায়ুন কবির ও সরকার তাহমিনা বেগম, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. রেজাউল করিম, সহসম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান ও মো. আবদুল করিম প্রার্থী হয়েছেন। সদস্যের সাতটি পদে ফাতিমা আক্তার, সৈয়দ ফজলে এলাহী, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. রাসেল আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান নজরুল, মহিউদ্দিন হানিফ ও মো. ইব্রাহিম খলিল প্রার্থী হয়েছেন।

বিভিন্ন পদে অন্য প্রার্থী যাঁরা

যাচাই-বাছাই শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে ১৪টি পদের বিপরীতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৩৩। দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে আরও দুজন প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরা হলেন মো. ইউনুছ আলী আকন্দ ও মো. খলিলুর রহমান (এম কে রহমান)। সম্পাদক পদে ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া ও নাহিদ সুলতানা প্রার্থী হয়েছেন। মো. সাইফুল ইসলাম কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী হয়েছেন।