চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে সরানো হচ্ছে ১৬ জাহাজ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে জাহাজগুলো গভীর সাগরে পাঠানো হচ্ছেফাইল ছবি: প্রথম আলো

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় আজ রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সতকর্তা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলার পর এই সতর্কতা জারি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক আজ প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দরের মূল জেটিতে থাকা ১৬টি জাহাজ সাগরে পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া বন্দরের জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো–নামানো আর বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাসের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

ঘূর্ণিঝড়ের সময় জেটি থেকে কেন জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, বড় জাহাজ জেটিতে থাকলে ঢেউয়ের কারণে জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সাগরে জাহাজগুলো ইঞ্জিন চালু রেখে ঢেউ বা ঝড়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে অনায়াসে ভেসে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন

১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, দুর্যোগ মোকাবিলায় কখন কী করতে হবে, তা নির্ধারণ করা আছে। সেটি মেনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।

আরও পড়ুন

এই নীতিমালা অনুযায়ী, সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হলে বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

আজ সকালে ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিয়ে দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেখানে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন