এক আসামির পরিবর্তে আরেকজনের আত্মসমর্পণ, আইনজীবীসহ ৪ জনের নামে পরোয়ানা

আদালতপ্রতীকী ছবি

এক আসামির পরিবর্তে আরেকজনকে আদালতে উপস্থাপন করায় আইনজীবীসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

যে চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন আইনজীবী আকরাম হোসেন, মূল আসামি ফেরদৌসি আরা এবং ফেরদৌসির পক্ষের লোক আবদুল মান্নান ও ইউনূস আলী। আসামি ফেরদৌসি সেজে আসা ময়না বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, চেক প্রতারণার মামলায় ২০১৪ সালে ফেরদৌসি আরা নামের এক নারীকে কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই মামলায় ২৮ মে ময়না বেগম নামের এক নারী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৩–এ নিজেকে ফেরদৌসি আরা পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তখন আইনজীবী আকরাম হোসেন হলফনামা দিয়ে জানান, আত্মসমর্পণকারী আসামি ফেরদৌসি আরা। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ময়না বেগম ফেরদৌস আরার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন বলে তিনি আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন। গৃহকর্ত্রী ফেরদৌসির কথামতো তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে ফেঁসে গেছেন।

পিপি রফিক উদ্দিন আরও বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ দেখতে পায়, ফেরদৌসি আরা পরিচয় দিয়ে কারাগারে যাওয়া ব্যক্তি ফেরদৌসি আরা নন। তাঁর প্রকৃত নাম ময়না বেগম। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার সময় অনলাইন ডেটাবেজ পরীক্ষা করে এ তথ্য জানতে পারেন। ময়না বেগম ফেরদৌস আরার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন বলে তিনি আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন। গৃহকর্ত্রী ফেরদৌসির কথামতো তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে ফেঁসে গেছেন।

আদালতের এক আদেশ থেকে জানা যায়, ময়না বেগমকে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। পরে তিনি স্বীকার করেন, তিনি ফেরদৌসি নন। আদালতের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে ময়না বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আইনজীবী আকরামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৩–এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন।