আফ্রিকায় নিহত তিন শান্তিরক্ষীর লাশ দেশে এনে দাফন

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে নিহত তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। আজ শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি এভিয়েশন হ্যাঙ্গারে
ছবি: আইএসপিআরের সৌজন্যে

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে পুঁতে রাখা বোমা (আইইডি) বিস্ফোরণে নিহত তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর লাশ দেশে এনে দাফন করা হয়েছে। আজ শনিবার নিজ নিজ গ্রামে সামরিক মর্যাদায় তাঁদের দাফন করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে আজ ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি এভিয়েশন হ্যাঙ্গারে তাঁদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সেনাবাহিনীর প্রধান নিহত শান্তিরক্ষীদের সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরবর্তী সময়ে সেনাসদস্যদের মরদেহ আর্মি এভিয়েশনের হেলিকপ্টারযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারীতে নিজ নিজ গ্রামে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁদের দাফন করা হয়।

৩ অক্টোবর মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে (সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক) স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি গাড়িবহর টহল থেকে ফেরার পথে আইইডি বিস্ফোরণের কবলে পড়ে। এতে বহরের সামনের গাড়িতে থাকা বাংলাদেশের তিন শান্তিরক্ষী নিহত হন। প্রয়াত সেনাসদস্যদের মরদেহ গতকাল ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছায়।

এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের ১২৯ জন সেনাসদস্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা আফ্রিকার আটটি দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।