ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

আজ সোমবার ভারতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে নিজের পরিচয়পত্র (ক্রেডেন্সিয়াল) পেশ করেছেন বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি পরিচয়পত্র পেশ করেন।

হাইকমিশনার নিযুক্ত হওয়ার পর গত ১৪ অক্টোবর দিল্লি পৌঁছান মুস্তাফিজুর রহমান। এর আগে তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের অফিসে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন।

পরিচয়পত্র পেশের পর বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ পর্বে ভারতের রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সময়ের পরীক্ষায় এই সম্পর্ক উত্তীর্ণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সেনানিরা রক্ত ঝরিয়েছেন; প্রাণ দিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নিদর্শন বিরল।

মুর্মু বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক দিন দিন শুধু উন্নতই হচ্ছে না, মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধনও দৃঢ় হচ্ছে। বেড়ে চলেছে পারস্পরিক ভরসা ও আস্থা।

এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও যোগ্য নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাঁর দায়িত্ব পালনের এই অল্প সময়ের মধ্যেই দুইবার সাক্ষাৎ হয়েছে দুজনের। প্রথমবার গত সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়। দ্বিতীয়বার ওই মাসেই লন্ডনে রানি এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেমন বাংলাদেশের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে চলেছে, তেমনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তার ও ব্যাপ্তি বেড়ে চলেছে। তিনি বলেন, এই সম্পর্ক আগামী দিনে আরও দৃঢ় হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।

এ সময় ভারতের রাষ্ট্রপতিকে হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলমান সম্পর্ক বহুমুখী ও দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টাই তাঁর লক্ষ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের তৎকালীন নেতৃত্বের দূরদৃষ্টি ও বিচক্ষণতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই থেকে সম্পর্কের যে বন্ধনের শুরু, দিন দিন তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ হাইকমিশনার বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক কোন আদর্শের হওয়া উচিত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোটা বিশ্বের কাছে সেই দৃষ্টান্ত রেখেছেন।

পরিচয়পত্র পেশের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার নুরাল ইসলাম, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ, কনস্যুলার (মিনিস্টার) সেলিম জাহাঙ্গীর, প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।