রামগড়ের ইউএনওর ৬ মাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা নয়

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতকে ছয় মাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে জনপ্রশাসনসচিব ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার বৈধতা নিয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রামগড়ের ইউএনও গত ১ আগস্ট দুজন দিনমজুরকে পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে, ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে ও ইউএনওকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে ওই দুজন দিনমজুর একটি রিট করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন অফিস টিলার আবুল কালাম ও দারোগা পাড়ার রুহুল আমিন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

হাসান এম এস আজিম প্রথম আলোকে বলেন, রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবির বিরোধপূর্ণ জায়গায় ওই দুই দিনমজুর বেড়া দেওয়ার কাজে যান। সেখান থেকে পুলিশ দিয়ে তাঁদের ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে কার্যালয়ে বসে ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি ছাড়া তাঁদের পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। কার্যালয়ে বসে ও স্বীকারোক্তি ছাড়া সাজা দেওয়ার বিধান আইনে না থাকায় রিট হলে আদালত রুলসহ ওই আদেশ দেন।

রুলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গত ১ আগস্ট দেওয়া সাজা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং রিটকারীদের ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইনসচিব, জনপ্রশাসনসচিব, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক, রামগড়ের ইউএনওসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।