নাগাসাকি পিস পার্কে বাংলাদেশের ভাস্কর্য ‘ওরে বিহঙ্গ মোর’

জাপানের নাগাসাকি পিস পার্কে স্থাপিত বাংলাদেশের ভাস্কর্য ‘ওরে বিহঙ্গ মোর’– এর সামনে অতিথিরাছবি: সংগৃহীত

জাপানের নাগাসাকি পিস পার্কে স্থাপিত হলো বাংলাদেশের ভাস্কর্য ‘ওরে বিহঙ্গ মোর’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শান্তি ও সাম্যের বার্তা বহনকারী ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য নাগাসাকি পিস পার্কে জায়গা সংরক্ষিত আছে। বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে ভাস্কর্যটি আজ মঙ্গলবার উন্মোচন করা হয়।

ভাস্কর্যের নকশাটি করেছেন স্থপতি অনিন্দ্য পন্ডিত। তিনি প্রথম আলোকে পাঠানো এক বার্তায় জানান, নাগাসাকি পিস পার্কে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ২০১৫ সালে নকশা প্রতিযোগিতার আহ্বান করে স্থাপত্য অধিদপ্তর। এতে দেশের ৬২ শিল্পী ও স্থপতি তাঁদের প্রস্তাবিত নকশা জমা দেন। সেখান থেকে অনিন্দ্য পন্ডিতের নকশাটি বেছে নেন বিচারকমণ্ডলী।

জাপানের নাগাসাকি পিস পার্কে ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এতে স্থপতি অনিন্দ্য পন্ডিত এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তা ও নাগাসাকি পিস পার্কের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আণবিক বোমা হামলায় জাপানের নাগাসাকি ও হিরোশিমা শহর দুটি বিধ্বস্ত হয়। নাগাসাকিতে পিস পার্কে বিশ্বের ১৫টি দেশ তাদের ভাস্কর্য স্থাপন করেছে বলে জানান অনিন্দ্য পন্ডিত। বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত স্থানের ডানে ইতালি ও বাঁয়ে পোল্যান্ডের ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে।

অনিন্দ্য পন্ডিত বলেন, তিনি ১৯৪৫ সালের ৯ আগস্টের আণবিক বোমা হামলার মাধ্যমে মনুষ্যসৃষ্ট নৃশংসতম ঘটনায় শোক প্রকাশ বা সহানুভূতি প্রকাশকেই তাঁর ভাবনায় প্রাধান্য দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে বিশ্বশান্তির আশা ব্যক্ত করেছেন। ভাস্কর্যটিতে বিশ্বব্যাপী সর্বজনগ্রাহ্য শোক প্রকাশক প্রতীককে ত্রিমাত্রিক দৃষ্টিতে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।