৫ বছরে তদন্তের মুখে প্রশাসনের ১৭৮ কর্মকর্তা, শাস্তি ৯১ জনের

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
ছবি: বাসস

বিভিন্ন রকমের অনিয়মের অভিযোগে গত ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৪) তদন্তের মুখে পড়েছেন প্রশাসনের ১৭৮ জন কর্মকর্তা (গ্রেড ১ থেকে ৯ম)। তাঁদের মধ্যে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ২২ জনের গুরুদণ্ড ও ৬৯ জনের লঘুদণ্ড হয়েছে। অর্থাৎ ৯১ জনের শাস্তি হয়েছে। বাকি ৮৭ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিজীবীদের বিভাগীয় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মূলত ওই দুই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে  সরকারি কর্মচারী আইন অনুযায়ী, লঘু দণ্ডগুলো হলো তিরস্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা, বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমিত করা এবং সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা। আর গুরু দণ্ডগুলো হলো নিম্নপদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।

৫ বছরের পাশাপাশি বিগত ১০ বছরে (২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত) কতজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তারও তথ্য দেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১০ বছরে ৩৫১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তাঁদের মধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন এবং লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। বাকি ১৭০ জন অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত বিভাগীয় মামলা চলে। যদি কোনো কর্মকর্তার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়, তাহলে সেটি আমলে নিয়ে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এ বিষয়ে প্রথমে প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা বোঝার চেষ্টা করা হয়। কারণ, বিভাগীয় মামলা করতে গেলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করতে হয়। এতে শুনানি হয়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। তিনি বলেন, পুরস্কারের পাশাপাশি শাস্তির ব্যবস্থাও থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসীহ উদ্দিন মাহতাব ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।