টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল। জয়ের মুকুট প্রিয় দলের মাথায়। বিজয়ের হাসি প্রিয় খেলোয়াড়ের মুখেই! আর্জেন্টিনা-ভক্তদের বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। ৩৬ বছর পর স্বপ্নের বিশ্বকাপ ঘরে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। মেসির পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছেন বিশ্বের কোটি দর্শক।
কাতার বিশ্বকাপ ২০২২-এ আর্জেন্টিনার ক্রমাগত সাফল্যের ধাপে সঙ্গী হয়েছেন বিশ্ববাসী। বাদ যায়নি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রিয় দর্শকেরাও। বিভিন্ন বয়সী আর্জেন্টিনা-ভক্তরা গায়ে চাপিয়েছেন আকাশি-সাদা রঙের জার্সি। অন্য দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বা শুধুই নিজের পছন্দের দলের প্রতি ভালোবাসায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে মেসির দেশের পতাকা।
এত ভালোবাসা, এত আবেগ প্রকাশে খেলা চলাকালীন তরুণদের আনন্দসঙ্গী হয়েছিল নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রোডাক্ট বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিপসের ব্র্যান্ড ডিটস। ব্র্যান্ডটির উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় মেসির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘লাভ ফর মেসি’। তরুণেরা নির্ধারিত রেখা বরাবর তাঁদের নাম–স্বাক্ষর করবেন, আর হাজার হাজার তরুণের স্বাক্ষরে ফুটে উঠবে মেসির অবয়ব—এমন মজার ভালোবাসা আর শুভকামনা প্রকাশে তরুণেরা তাই ছিলেন উচ্ছ্বসিত।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সমর্থক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে দেখতাম, আমার বাবা আর্জেন্টিনার সমর্থক। তাই অবচেতন মনে আমিও দলটির সমর্থক হয়ে যাই। ধীরে ধীরে ভালোবাসা জন্ম নেয় দলটির জন্য। আর এ ভালোবাসা তীব্র গতি পায় প্রিয় ফুটবলার মেসির জন্য। এখন সব ধরনের খেলাধুলা মিলিয়ে সব সময়ই আমার প্রিয় খেলোয়াড় মেসি।’
মেসির প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যত ব্যস্তই থাকি না কেন, পত্রিকার পাতায় মেসির কোনো খেলার খবর বা তার কোনো ছবি ছাপালে সেই অংশটুকু কেটে সংগ্রহ করে রাখি। আমার ঘরে রয়েছে মেসির নানা রকমের, নানা বয়সের পোস্টার। বিশ্বকাপের পুরো সময়ে মেসির ছবিযুক্ত জার্সি পরেই ঘুরেছি। আমার কাছে মেসি এক অন্য রকম আবেগের নাম।’
‘এবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ হাতে নিয়েছে মেসি। এটা যে কী ভালোলাগার অনুভূতি, বলে বোঝাতে পারব না। আমার বন্ধু-বান্ধবের অনেকেই মেসির সমর্থক। খেলায় জেতার পর খুব আনন্দ-উল্লাস করেছি। মেসি আমাদের জীবনে আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে। বিশ্বজয়ী এই খেলোয়াড় বাংলাদেশে আসুক, এ প্রজন্ম তাঁকে সরাসরি দেখার সুযোগ পাক—এমন আশা আমরা মনের মধ্যে পুষে রেখেছি।’
‘লাভ ফর মেসি’ ক্যাম্পেইনে নিজের ভালোবাসার কথা এভাবেই প্রকাশ করলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আযহার আহমেদ।
শুভকামনা প্রদর্শনে স্বাক্ষর প্রদানের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে ছিল ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা মেসির ভক্ত’ স্লোগানটি। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নন, ক্যাম্পাসের রিকশাচালক ও শিশুশ্রমিকরাও এই তরুণ তুর্কির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন ডিটসের ক্যাম্পেইন দলের সঙ্গে।
রিকশাচালক আবদুল আউয়াল বলেন, ‘মেসি একটা সোনার ছেলে। আমি চাই সে বাংলাদেশে আসুক। বাংলাদেশে সে কতটা জনপ্রিয়, সেটা মেসি নিজে দেখুক।’
ক্যাম্পাসে সারা দিন বোতল-কাগজ কুড়ানো শিশু রুবেলের কণ্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস, ‘আমি মেসিরে ভালোবাসি। তারে বাংলাদেশে আনেন। নিজের চউক্ষে মেসিরে দেহি।’
নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রোডাক্ট বাংলাদেশের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আসিফুর রউফ ‘লাভ ফর মেসি’ ক্যাম্পেইন সম্পের্কে বলেন, ‘ডিটস তরুণদের মধ্যে অন্য রকম চনমনে ভাব এনে দেয়। তারা নিজেদের পছন্দের শীর্ষে রেখেছে এই চিপসকে। মেসির প্রতি তরুণ প্রজন্মের ভালোবাসা প্রকাশের জন্যই আমাদের এ আয়োজন। ক্যাম্পেইনটিতে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। সবার স্বাক্ষরসংবলিত মেসির এই প্রতিকৃতিতে তরুণদের ভালোবাসা ফুটে উঠেছে প্রিয় খেলোয়াড়ের প্রতি।’ বিজ্ঞাপন বার্তা