এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ করে অর্থ বিভাগের চিঠি

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেনছবি: প্রথম আলো

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এই চিঠি দেয়।

আরও পড়ুন
তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা। ১৮ অক্টোবর ২০২৫
ছবি: প্রথম আলো

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ (সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাঁরা ৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব আগেই প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখনো তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

আজ অষ্টম দিনের মতো শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মসূচি চলছে। এখন তাঁরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।

আরও পড়ুন

এর মধ্যে আজ অর্থ বিভাগ বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) করার সিদ্ধান্ত দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিল। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। এতে মোট ছয়টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে এই বাড়ি ভাড়া পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে সমন্বয় করতে হবে। এ ছাড়া এই ভাতা বৃদ্ধিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো বকেয়া পাবেন না।

কয়েক দিন আগে আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে দেখা করেছিল।

আরও পড়ুন
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা
ফাইল ছবি

তখন শিক্ষা উপদেষ্টা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) দিতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে সেদিন শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেছিলেন, তাঁরা এটি মানবেন না।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এতদিন মাসে এক হাজার টাকা করে বাড়িভাড়া পেয়ে আসছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ বিভাগ সম্মতিপত্র দিয়েছিল। যদিও শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে সেটি কার্যকর করেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বরং তারা শতাংশের হিসাবে বাড়িভাড়া দিতে অর্থ বিভাগে চিঠি দিয়েছিল। এতে চারটি ভাগ (৫, ১০, ১৫, ২০ শতাংশ) করে হিসাব করে দেখানো হয়েছিল, কত টাকা লাগবে। সেখান থেকে সরকারের সামর্থ্য অনুযায়ী বাড়িভাড়া বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছিল।