অনুসারীকে আটক করায় থানায় এসে ওসিকে ধমকালেন নৌকার প্রার্থী

চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় এসে ওসি তোফায়েল আহমেদকে ধমকালেন নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। আজ দুপুরেছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।

নিজের অনুসারীকে আটক করায় চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী থানায় এসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদকে ধমকালেন। আজ রোববার দুপুর ১২টায় বাঁশখালী থানায় ওসির কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী থানায় এসে ওসিকে ধমকান। নিজের অনুসারী এক কাউন্সিলরকে আটক করায় সংসদ সদস্য থানায় এসে এ ঘটনা করেন।

এর আগে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে আবদুল গফুর নামের এক কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। তিনি নৌকা প্রতীকের সমর্থক। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ জলদী আসকরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আবদুল গফুর বাঁশখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, কাউন্সিলর আবদুল গফুর ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি পুলিশের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। এসব অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছে।

এই বিষয়ে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পৌরসভার এক কাউন্সিলরকে ধরে নিয়ে থানায় বসিয়ে রেখেছে পুলিশ। এই খবর পেয়ে সংসদ সদস্য থানায় যান। তিনি ওসির কাছে কাউন্সিলরকে কেন আটক করে রাখা হয়েছে, তা জানতে চান। এ সময় ওসি বিষয়টি কাউন্সিলরের কাছ থেকে জানতে বলেন। এ নিয়ে একটু কথা–কাটাকাটি হয়।
১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে এই আসন। ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৮ জন। স্বাধীনতা–পরবর্তী ১১টি নির্বাচনে এই আসনে চারবার (২০১৪ ও ২০১৮সহ) আওয়ামী লীগ, পাঁচবার বিএনপি ও দুবার জাতীয় পার্টি জয়ী হয়।

আরও পড়ুনঃ

পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ

নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাঙ্গলের প্রার্থীর ভোট বর্জন

আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে, এবারও সেটাই করা হচ্ছে: জি এম কাদের

মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী

এই আসনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১০ জন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। ঈগল প্রতীকের মুজিবুর রহমান ও ট্রাক প্রতীকের আবদুল্লাহ কবির। এর মধ্যে মুজিবুর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আবদুল্লাহ কবির দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তাঁদের তিনজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছেন।

বাকি সাতজন হলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল মালেক (চেয়ার), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) আশীষ কুমার শীল (কুঁড়েঘর), বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম জিল্লুল করিম (ডাব), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মামুন আবছার চৌধুরী (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহিউল আলম চৌধুরী (মোমবাতি), ইসলামী ঐক্যজোটের শফকত হোসাইন চাটগামী (মিনার) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান (বেঞ্চ)।