পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতাকে হারিয়ে পাঁচবিবির চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার

সাবেকুন নাহার

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়েছেন সাবেকুন নাহার (শিখা)। ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করে তিনি আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে হারিয়েছেন।

সাবেকুন নাহার ৩৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানন মনিরুল শহিদ পেয়েছেন ১১ হাজার ৮০০ ভোট। ১১ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক।

জয়ে উচ্ছ্বসিত সাবেকুন বলেন, ‘এই কৃতিত্ব উপজেলাবাসীকে দিতে চাই। তাঁরা আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। উপজেলায় প্রথমবারের মতো আমি নির্বাচিত নারী চেয়ারম্যান। বিষয়টি খুব ভালো লাগছে।’

প্রথমে পাঁচবিবি পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে লড়াই করে হেরে যান সাবেকুন নাহার। পরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী, এমন আওয়াজ ছিল। তবে ভোটের চার দিন আগে জয়পুরহাট জেলা বিএনপি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাবেকুন নাহার বিএনপির কেউ নন বলে জানিয়েছিল।

হেরে যাওয়া অন্য পাঁচ প্রার্থী হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুল শহিদ (মোটরসাইকেল), জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদুল আলম (কই মাছ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ জাফর সুমন চৌধুরী (টেলিফোন) ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কুসুম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন (দোয়াত-কলম)।

পাঁচবিবি চাঁনপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন থেকে পৌরসভা সব জায়গায় জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগের। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা প্রার্থী হয়েছিলেন। সাবেকুন নাহারের কোনো দলীয় পরিচয় ছিল না। নির্দলীয় স্বাদ পেতে লোকজন সাবেকুন নাহারকে ভোট দিয়েছেন।

পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিহাদ মন্ডল বলেন, আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁরা নিজেরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। ভোটের মাঠে পাঁচ প্রার্থী নিজেরা নিজেদের দোষত্রুটি তুলে ধরতে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁরা অন্য প্রার্থীর দোষত্রুটি তুলে ধরতে পারেননি। দলের ভোটগুলো পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এসব কারণে সাবেকুন নাহারের জয় পাওয়া সহজ হয়েছে।