কারাগারে বম যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ
কারাগারে লাল ত্লেং কিম বমের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা বম নারী ও শিশুসহ সম্প্রদায়টির আটক অন্যান্য সদস্যদের মুক্তি এবং চিংমা খেয়াংকে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার ‘সম্মিলিত আদিবাসী ছাত্র সমাজ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এর আগে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তিময় চাকমার সঞ্চালনায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বম ছাত্র প্রতিনিধি রিচার্ড বম অভিযোগ করেন, তিন বছর ধরে বম জনগোষ্ঠীকে একপ্রকার নজরবন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের অভিযানের নামে পুরো বম জনগোষ্ঠীকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের অনেক সদস্যকে বিনা বিচারে বছরের পর বছর কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আপনারা কিসের স্বার্থ রক্ষা করতে চান সেটা আমার প্রশ্ন?
সংহতি জানিয়ে লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে এমনটি হওয়ার কথা ছিল না।
নুমং মারমা বলেন , পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে সারা বাংলার অগ্রগতি সম্ভব নয়। সুতরাং এই সরকারকে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে পাহাড়ের সকল সমস্যার সমাধান করুন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়া চাকমা। সমাবেশে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার সংহতি জানিয়েছে।
২০২৪ সালের ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বম সম্প্রদায়ের কিছু নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের বান্দরবান ও চট্টগ্রাম কারাগারে রাখা হয়েছে। গত ১৫ মে চট্টগ্রাম কারাগারে লাল ত্লেং কিম বম (৩০) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।