ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, আহত অনেকে

ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের জলকামান নিক্ষেপের মাধ্যমে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। প্রেসক্লাব এলাকা, ঢাকা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ছবি: মীর হোসেন

রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের মাধ্যমে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে তাঁরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ভুখামিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা দেন। একটু সামনে এগোতেই তাঁরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। সোয়া দুইটার দিকে তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের জলকামান ও সাউন্ডে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আশপাশ এলাকায় অবস্থান নেন। এ ঘটনায় আহত শিক্ষককেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, প্রেসক্লাব এলাকায় অবস্থান নিয়ে তাঁরা ভুখামিছিল করছিলেন। কিছুক্ষণ পর মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে থেকে সচিবালয়ের দিকে রওনা দেন তাঁরা। এ সময় পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। তাঁদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁরা সেটি না মেনে জোর করেই সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। ব্যারিকেড ভাঙার সময় তাঁদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করা হয়। পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের মাধ্যমে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। প্রেসক্লাব এলাকা, ঢাকা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
ছবি: মীর হোসেন

শাহবাগ থানার প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা জোর করে সচিবালয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল থেকে প্রথম আলোর সংবাদদাতা জানান, স্বতন্ত্র ইবাতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণ দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের জলকামান, কাদানে গ্যাসের শেল লাঠিচার্জ অন্তত ৪৩ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ময়মনসিংহ থেকে আসা শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, আহত শিক্ষকেরা জানিয়েছেন স্বতন্ত্র ইবাতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণের দাবিতে ১৭ দিন ধরে আমরা ন্যায্য দাবী নিয়ে অবস্থান করছিলাম। আজ দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানের সময়ে পুলিশ আমাদের শিক্ষকদের উপর অতর্কিতভাবে জলকামান, কাদানে গ্যাসের সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করেন। এতে অন্তত আমাদের অর্ধ–শতাধিক শিক্ষক আহত হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আহতেরা জরুরী বিভাগের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।