মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো সিন্ডিকেটের শাস্তি দাবি ২৩ সংগঠনের

প্রবাসী শ্রমিকেরা দেশে ফিরছেনপ্রথম আলোর ফাইল ছবি

২০২২ সালের পর থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় গেছেন কয়েক লাখ বাংলাদেশি কর্মী। তাঁদের অনেকে এখন দুর্ভোগে পড়েছেন। এই ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে অভিবাসীকর্মীদের নিয়ে কাজ করা ২৩টি সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম)। তারা বলছে, সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশিরা এখন দুর্ভোগে। সিন্ডিকেটের সদস্যদের শাস্তি দিতে হবে।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে বিসিএসএম। এতে বলা হয়, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সিন্ডিকেট-ব্যবস্থার মাধ্যমে ২০২২ সাল থেকে ৪ লাখের বেশি বাংলাদেশি মালয়েশিয়া গেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় এবং কয়েক মাস ধরে কর্মীদের কাজ না পাওয়ার সমস্যাটি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন এসব কর্মী।

বিসিএসএম বলছে, সিন্ডিকেটে যুক্ত কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ার এমন কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মী পাঠিয়েছে, যাদের কর্মী নিয়োগের সক্ষমতাই নেই। কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ওই নামে প্রতিষ্ঠান নেই। কিন্তু মালয়েশিয়ায় পাঠাতে এসব কর্মীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠালে কী দুর্ভোগ হয়, তারা তা আগেই চিহ্নিত করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। তাদের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। মালয়েশিয়ার গিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন এসব বাংলাদেশি কর্মী। সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছে বিসিএসএম।