সেপটিক ট্যাংকে কেন এত মৃত্যু হচ্ছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রত্যন্ত নাসিরনগর উপজেলার খাগালিয়া গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে মো. মিঠু কাজের সন্ধানে ঢাকায় এসেছিলেন। ২২ বছরের এই তরুণ একটা কাজের জন্য কোথায় না গেছেন। কাকডাকা ভোরে সেদিন এক পোশাক কারখানার গেটে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। যদি কোনো ছুটাছাটা কাজে ডেকে নেয়! কাজের জন্য ডাক মো. মিঠু পেয়েছিলেন। আল রহমান নিট ফ্যাশনস কারখানার সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারের কাজ। এসব ময়লা কাজ জীবনে কখনো করেননি মিঠু। ক্ষুধা বড় দায়। সেপটিক ট্যাংক থেকে আর তিনি উঠতে পারেননি।
দেড়–দুই ঘণ্টা পর প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের হুঁশ হয়। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসকে খবর না দিয়ে টোটকা করে কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুকূপে নামিয়ে দেন এক প্রহরীকে, পরে নামান আরেক কর্মীকে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেপটিক ট্যাংক থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
দু–একজন কথিত শ্রমিকনেতা আশুলিয়ার দরগার পাড় এলাকার এই প্রাণসংহারী প্রতিষ্ঠানের ফটকে হালকা–পাতলা ঘোঁট পাকালেও তেমন কিছু উদ্ধার হয়নি। সবই ‘ম্যানেজ’ হয়ে যায়, সাগর–রুনির মতো অবহেলায় পড়ে মিঠুদের মৃত্যুর পাট চুকিয়ে যায়।
এ দেশ থেকে সার্ভিস ল্যাট্রিনের পাট চুকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক যুগের সূচনা। এখন যেকোনো দালানের অবধারিত অংশ সেপটিক ট্যাংক। নলকূপ আর পাকা পায়খানাভিত্তিক সভ্যতা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সেপটিক ট্যাংকের আসন পাকাপোক্ত হয়ে যায়। খানদানিত্বের সূচকে পরিণত হওয়া সেপটিক ট্যাংক দিন দিন মানুষভুক ক্ষুধার্ত ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। যেকোনো একটা কাজের খোঁজে থাকা অনাহারী তরুণেরা প্রায় প্রতিদিনই মরছেন এসব গর্তে।
দালানের অপরিহার্য অংশ হলেও সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হয় এগুলোর নির্মাণশৈলী আর প্রযুক্তির ব্যবহারে। ভাবা হয় এটা ‘বাম হাতের’ (হেলাফেলা অর্থে আমরা এই অবজ্ঞাসূচক শব্দটি উচ্চারণ করি হরদম) কাজ। যে কেউ যেমন–তেমন করে এটা করে ফেলতে পারবে। বাস্তুশাস্ত্র কিন্তু তা বলে না। বাস্তুশাস্ত্রে সেপটিক ট্যাংক–সংক্রান্ত বিশেষ কিছু নিয়মকানুন আছে। মাটির নিচের এই গর্ত বা সেপটিক ট্যাংকের কাজ হচ্ছে সুয়ারেজের প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট করা।
মলমূত্রের ভারী অংশ থেকে তরল অংশ আলাদা করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে এ গর্তগুলো খোঁড়া হয়। পরে তরল বর্জ্য মূল পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থায় চলে যায় আর কঠিন বর্জ্য গর্তের নিচে জমা হয়। অনেক জায়গায় মূল পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা বলে কিছু নেই। থাকলেও তার সঙ্গে অনেক ঘরবাড়ির সংযোগ নেই। ফলে তরল–কঠিন সব বর্জ্যই মাটির নিচের গর্তে বা কথিত সেপটিক ট্যাংকে জমা হতে থাকে। এসব ট্যাংক একসময় ভরে গেলে সেটা খালি করতে সস্তা অদক্ষ গরিব শ্রমিক খুঁজতে হয়। তাঁরাই সেপটিক ট্যাংক দুর্ঘটনার বলি হচ্ছেন।
কেন এমন ঘটে
প্রায় প্রতিবছর না হলেও দুই বছরে একবার চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দিনের বেলায় আমাদের ইঁদারা (পাকা কুয়া) ঝালাই করতে লোক আসতেন। তাঁদের ঝালাইকার বলে ডাকা হতো। বড় বড় বালতি নামিয়ে কুয়ার সব জল তুলে তারপর মানুষ কুয়ার তলা পরিষ্কার করতে নামতেন। তবে তার আগে তাঁরা একটা জ্বলন্ত লন্ঠন কুয়ার ভেতরে নামিয়ে দিতেন। লন্ঠনের বাতি নিভে গেলে ঝালাইকারেরা বলতেন, কুয়ায় ভূত আছে। ভূত তাড়াতে পাতাসহ গাছের ডাল দড়ির সঙ্গে বেঁধে কুয়ায় নামিয়ে দিতেন। তারপর দড়ি ধরে জোরে জোরে ঘোরাতে থাকতেন সেই গাছের ডাল।
অনেকক্ষণ এসব কীর্তি করার পর আবার জ্বলন্ত লন্ঠন নামানো হতো। লন্ঠন না নিভলে তবেই ঝালাইকার নামতেন। তখন এসব বুজরুকির যে একটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে, তা আমাদের মগজে আসেনি। ভূত নয়, অক্সিজেন আছে কি না সেটা দেখার জন্য ছিল এই ‘লন্ঠন খেলা’। আর ভেতরে অক্সিজেন ঢোকানোর জন্যই গাছের পাতা দিয়ে চলত নাড়ানাড়ি।
পণ্ডিতদের ধারণা, মাটির নিচে গর্ত দীর্ঘদিন আবদ্ধ থাকলে তার ভেতর নানা ধরনের ক্ষতিকারক বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়। অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড, সালফার ডাই অক্সাইডসহ সালফারের অন্যান্য গ্যাস, মিথেন, এমনকি বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড তৈরি হতে পারে। বদ্ধ থাকায় এসব গ্যাস ক্রমে ঘন হতে থাকে এবং সেই সঙ্গে অক্সিজেন কমতে কমতে একেবারে শূন্য হয়ে যেতে পারে। মানুষ এসব অক্সিজেনশূন্য গর্তে ঢুকলে দ্রুত জ্ঞান হারিয়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
সেপটিক ট্যাংক বা বদ্ধ যেকোনো কূপের বিপদ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের ধারণা না থাকায় মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, একজন ঢোকার পর যখন তার সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না, তখন তাকে বাঁচাতে আরেকজন মানুষ ঢোকে, তখন তারাও বিপদে পড়ে। মিঠু যেখানে নেমেছিলেন, সেখানে অক্সিজেন ছিল না। যে কেউ সেখানে নামলে একই অবস্থায় পড়বে। সেটা কারও ধারণায় ছিল না বলেই তাঁকে উদ্ধারে নেমে মোহাম্মদ আলী আর রাকিবকে প্রাণ দিতে হয়।
বছরে এমন কত ঘটনা ঘটে
মানুষ মারা না গেলে অনেক ঘটনা খবর হয় না, সংবাদপত্র–বেতার–টেলিভিশনে আসে না। আমজনতাও জানতে পারে না। বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে চারটি প্রধান দৈনিক আর অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, বছরে দেশে সেপটিক ট্যাংক দুর্ঘটনার সংখ্যা গড়ে ১২০। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয় প্রায় ৩০০ মানুষের। শুধু ঢাকাতেই ২০১৮ সালে ম্যানহোল, কূপ, পানির ট্যাংক এবং সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার–সংশ্লিষ্ট ৩৮টি দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ডাক পড়েছিল। সেই ৩৮টি দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৩ জন মারা যান, গুরুতর আহত হন ২১ জন। আহত ব্যক্তিদের কয়জন হাসপাতাল থেকে বেঁচে বাড়ি ফিরতে পেরেছিলেন, তার কোনো তথ্য কারও কাছে নেই।
একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকলেও এটা নিয়ে পয়োনিষ্কাশনের কাজে জান কুরবান সংগঠনগুলোর কোনো হেলদোল নেই। বছর চারেক আগে একসঙ্গে একই গর্তে ছয়জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হলে গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়। সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও ‘স্যার’ দয়াপরবশ হয়ে এলাকা পরিদর্শনে যান। ব্যস, ওই পর্যন্তই বুদ্বুদ শেষ। সেই ঘটনায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের জাফরপুর-পলাশবাড়ী হিন্দুপাড়া গ্রামের কৃষক নিখিল চন্দ্র মহন্তের বাড়িতে নির্মাণাধীন একটি সেপটিক ট্যাংকে নেমে সেখানে থাকা শাটারিংয়ের কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি খুলে ওপরে ওঠাতে গিয়ে চার শ্রমিক এবং ওই গৃহকর্তার চাচাতো ভাই, ছেলেসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়।
মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার পর ধারণা করা হয়েছিল, আশপাশের মানুষ অন্তত একটু সাবধান হবে। ৩১ জুলাইয়ের পর দুই মাস না যেতেই ২৩ সেপ্টেম্বর ঠিক একই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটে একই জেলার পাঁচবিবি উপজেলার শালাইপুর গ্রামে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে। সেখানেও নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের শাটারিংয়ের কাঠ ও বাঁশ খুলতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ওই বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী (৩৫) ও নির্মাণ শ্রমিক নাঈম হোসেনের (২৪) মৃত্যু হয়।
নতুন ট্যাংকও মরণ ডেকে আনছে
জয়পুরহাটের ঘটনা দুটি ছাড়াও নতুন সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাইয়ের পর ট্যাংকে নেমে শাটারিংয়ের কাঠ ও বাঁশ খুলে আনতে গিয়ে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয়েছে চিরিরবন্দর উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের নওখৈড় গ্রামের তালতলা এলাকায়। একই বছরের ১৯ আগস্ট চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ রোডের ভূঁইয়া হোয়াইট হাউসে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের শাটারিংয়ের কাঠ খুলে আনতে ট্যাংকে নেমে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ২৭ জুন নরসিংদীর গদাইরচর আফিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার নবনির্মিত চারতলা ভবনের পূর্ব পাশের দেয়ালে দড়ি বেঁধে মিস্ত্রিরা রং করছিলেন। এ সময় মিস্ত্রিদের কাজের একটি যন্ত্র সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে স্যানিটারি মিস্ত্রি জাহিদ তা তুলতে বাঁশ দিয়ে ট্যাংকের ভেতরে নামেন। তিনি সেখানে নেমে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করেন। তাঁকে উদ্ধার করতে বায়েজীদ নামের আরেক শ্রমিক ট্যাংকে নামলে তাঁরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর তাঁদের উদ্ধারে আনিছ নামলে তাঁরও একই অবস্থা হয়। খবর পেয়ে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তিনজনকে উদ্ধার করেন।
অন্য এক ঘটনায় নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে পড়া দুটি ছাগল উদ্ধার করতে নেমে মারা যান দুজন চা–শ্রমিক। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর চা–বাগানের বাউরি টিলা শ্রমিক বস্তি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
মৃত্যু এড়ানোর পথ কী
মানুষ কোনো কাজ না পেয়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই কাজটি করে থাকেন। দেশে যত ক্ষুধা বাড়বে, বেকারত্বের পারদ যত ওপরের দিকে উঠবে, মানুষ ততই ঝুঁকির কাজে সস্তা শ্রমিক হবে। আমাদের প্রধান প্রতিবেশী দেশ ২০১৩ সালে গর্তে মানুষ নামিয়ে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার নিষিদ্ধ করেছে। এ রকম মানুষ নামিয়ে হাত দিয়ে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার অনেক দেশেই বেআইনি। কারণ, এ কাজে উচ্চ ঝুঁকির সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যগত বিপদও অনেক। নিরাপদ ও কার্যকরভাবে ট্যাংক পরিষ্কার করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা আছে, এমন সব পেশাদার সেপটিক ট্যাংক পরিচ্ছন্নতাকর্মী দল তৈরি করতে পারে পৌরসভা।
বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে অবিলম্বে ম্যানুয়ালি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার নিষিদ্ধ করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। সমিতি মনে করে, শ্রমিকের ম্যানুয়ালি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারের কাজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইন প্রণয়ন জরুরি।
চাহিদা আর সরবরাহ বাজার ঠিক করে দেয়। তাই বাস্তবতা মেনে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষার কিছু পদক্ষেপ এখনই নেওয়া প্রয়োজন। কিছু প্রচলিত সহজ উপায়ে গর্তের নিরাপত্তা অনুমান করা সম্ভব। আমাদের উচিত, সেসব পদক্ষেপ সম্পর্কে নিয়মিতভাবে জনসচেতনতা বাড়ানো।
যেমন ১. একটি হারিকেন বা কুপি জ্বালিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে তা সেপটিক ট্যাংক বা কূপের ভেতর নামিয়ে দিলে সেটি যদি দ্রুত দপ করে নিভে যায়, তাহলে বোঝা যাবে সেখানে অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে।
২. বদ্ধ যেকোনো কূপ বা গর্তে ঢোকার সময় অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ।
৩. নেহাতই অক্সিজেন মাস্ক না থাকলে অনেক পাতাসহ গাছের ডাল কেটে তা দড়িতে বেঁধে গর্তের ভেতরে অনেকবার ওঠানামা করালে বিষাক্ত গ্যাস কিছুটা বাইরে বেরিয়ে আসে এবং কিছুটা অক্সিজেন ঢোকে।
আগুন বা অন্যান্য বিপদ থেকে মানুষকে সাবধান করতে ফায়ার সার্ভিস সারা দেশে যেসব প্রচার চালায়, তার মধ্যে সেপটিক ট্যাংকের বিপদ সম্পর্কেও ধারণা দেওয়ার প্রক্রিয়াটাকে আরও বেগবান করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে গণমাধ্যমকেও এগিয়ে আসতে হবে। পয়োনিষ্কাশন নিয়ে কাজ করে, এমন সংস্থাগুলোর অ্যাজেন্ডায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে কাজ করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য মনে হয় না ‘স্যার’দের বিদেশে পাঠানোর দরকার হবে। স্থানীয় সরকার চাইলে কালকেই একটা টাস্কফোর্স করে অসহায় শ্রমিকদের জান বাঁচাতে একটা কর্মসূচি নিতে পারে। মনে রাখতে হবে, এই গরিব মানুষগুলো না থাকলে একাত্তরে বিজয় আসত না।
লেখক গবেষক, [email protected]