গাছ কাটা-লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব বিধিমালা কেন নয়
গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন বা বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রুল দেন।
সারা দেশে তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা-লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন বা বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর ২ মে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এতে ফল না পেয়ে গতকাল রোববার তিনি রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সারা দেশে তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা-লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন বা বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা প্রশ্নে রুল
এদিকে দীর্ঘমেয়াদি-সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারণ করে নিয়মিত পরিবেশ তদারকির মাধ্যমে তাপপ্রবাহের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ বিষয়ে জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে এ রুল দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী গতকাল রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী রওশন আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশসচিব, আইনসচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, রাজউক চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’