বিজয়নগরে চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবদল নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রার্থীর নাম মো. আল জাবেদ। তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। আজ শুক্রবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। আগামী রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীর হাজির হয়ে অভিযোগের জবাব দিতে তাঁকে বলা হয়েছে।

চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩–১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে। আগামী ৫ জুন এখানে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কর্মী নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আল জাবেদ, নাছিমা মুকাই আলীর দেবর মোশাহেদ হোসেন ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী হারুনুর রশিদ এবং যুবদল নেতা আল জাবেদের ব্যক্তিগত সহকারী মুজিবুর রহমান। শেষ তিনজন ‘ডামি’ প্রার্থী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এর বাইরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুসারে, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী আল জাবের নিয়মিত মোটরসাইকেলের বহর ও লোকজন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সভা, সমাবেশ ও মিছিল করছেন। আজ বিকেলেও তিনি উপজেলার পত্তন ইউনিয়নে সমাবেশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান, আপনাদের ছোট ভাই। আমি নির্বাচন করতেছি। এই নির্বাচন আমার নয়, আপনাদের সকলের। এটা যদি আপনারা সকলেই ধারণ করেন, নির্বাচনটা হচ্ছে পত্তন ইউনিয়নের নির্বাচন, তাহলে আমি আশাবাদী আমাদের জয় নিশ্চিত। আজকের উপস্থিতি প্রমাণ করে পত্তন ইউনিয়নবাসী ঐক্যবদ্ধ।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, আচরণবিধি অনুসারে কোনো প্রার্থী এখন প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু চেয়ারম্যান প্রার্থী আল জাবের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। তাই তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার কার্যালয়ে সশরীর উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে হবে।