‘শিশুবক্তা’ রফিকুল চার মামলায় জামিন পেলেন

‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী
ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনি ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত।

জামিন চেয়ে মাদানীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেন। ফলে মাদানীর কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

আদালতে রফিকুল ইসলাম মাদানীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।  

আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে চারটি মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ভবিষ্যতে রাষ্ট্র ও দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী এবং জনমনে সংঘাতের সৃষ্টি করে—এমন বক্তব্য দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে জামিন দেন। সব মামলায় তিনি জামিন পেলেন। ফলে তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত বাধা রইল না।

তবে হাইকোর্টের জামিনাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।  

এর আগে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল নেত্রকোনায় তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। মামলার এজাহারে রফিকুলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন

গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারের কলমেশ্বর এলাকায় একটি কারখানা চত্বরে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। এ ঘটনায় ৭ এপ্রিল দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে গাছা থানায় র‍্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলা করেন।

আরও পড়ুন

রাজধানীর মতিঝিল থানায় রফিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি করা হয়। মামলায় অভিযোগ, তিনি ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা শেয়ার হওয়ায় তাঁদের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় এবং রাজধানীর তেজগাঁও থানায় রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক মামলা হয়।

আরও পড়ুন