ছয় মাসের জামিন পেলেন ডেসটিনির হারুন

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় চার বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের পর আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওই মামলায় চার বছর সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণের পর জামিন চেয়ে আবেদন করেন এম হারুন-অর-রশীদ। আদালতে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন ও রবিউল আলম বুদু, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী দীপঙ্কর কুমার ঘোষ। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে ছিলেন।

পরে হারুন-অর-রশীদের আইনজীবী রবিউল আলম বুদু প্রথম আলোকে বলেন, হারুন-অর-রশীদের বয়স ৭৫ বছরের বেশি, তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। এর আগে জামিনে থাকা অবস্থায় তিনি জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেননি, স্বল্প মেয়াদে সাজার মধ্যে তার ৩ মাস ১৮ দিন কারাভোগসহ বিভিন্ন যুক্তিতে তাঁর জামিনের আরজি জানানো হয়। হাইকোর্ট ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। কারা তত্ত্বাবধানে হারুন-অর-রশীদ এখন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন। জামিন পাওয়ায় তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই।

তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, জামিনের বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আপিল শুনানির জন্য তিন মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে আপিলকারীপক্ষকে বলা হয়েছে।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা ওই মামলায় গত ১২ মে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। চার বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হারুন হাইকোর্টে আপিল করার পাশাপাশি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হারুনের করা আপিল গত ৯ জুন হাইকোর্ট শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তবে জামিন চেয়ে তাঁর করা আবেদন নাকচ করে দেন। এরপর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন হারুন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ জুন হাইকোর্ট হারুন-অর-রশীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়ে। অন্যদিকে জামিন চেয়ে আবেদন করেন হারুন।