নোয়াখালীতে অগ্নিকাণ্ডের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু, দগ্ধ দুই নারীসহ তিনজন

নোয়াখালীতে অগ্নিদগ্ধ একজনকে হাসপাতাল আনা হয়েছে। আজ সকালে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে।ছবি: প্রথম আলো।

নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের চর উড়িয়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ব্যক্তি নিহত ও তিন দগ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া আগুনে গোয়ালঘরে থাকা দুটি গরুও পুড়ে মারা গেছে।

পুলিশ জানায়, মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মো. নুরুল ইসলাম (৬২)। আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. সেলিম (৩৭), পুত্রবধূ মায়া বেগম (৩০) ও ছেলের শাশুড়ি শেফালি বেগম। আহত তিনজনের মধ্যে সেলিমকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং বাকি দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে সাহ্‌রি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন নুরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আকস্মিক ঘরে আগুন ধরে যায়। তখন তাঁরা সবাই ঘুমন্ত ছিলেন। হঠাৎ আগুনের তাপে ঘুম ভাঙার পর নুরুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা ছুটোছুটি করে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে নুরুল ইসলামের শরীরে বিদ্যুতের তার এসে পড়ে। এতে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং মারাত্মকভাবে আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হন নুরুল ইসলামের ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও ছেলের শাশুড়ি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মাইজদী স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা কবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত সাড়ে পাঁচটার দিকে। তাঁরা সাড়ে প্রায় সাড়ে ছয়টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। ততক্ষণে বাড়ির দুটি বসতঘর, দুটি রান্নাঘর ও একটি গোয়ালঘর প্রায় পুরোটাই পুড়ে গেছে। গৃহকর্তা নুরুল ইসলাম আগুন দেখে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর গায়ে বিদ্যুতের তার পড়লে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে তিনি মারাত্মক আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আহত হয়েছেন দুই নারীসহ তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে, আর দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।