স্পিকারের সঙ্গে জার্মানির পার্লামেন্টারি দলের সাক্ষাৎ

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ সফররত জার্মানির পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা
ছবি: বাসস

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সফররত জার্মানির পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে যান তাঁরা।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জার্মানির পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদলের সদস্য রিনেট কুনাস্ট, আন্দ্রিয়াস লারেম, পল লারিডার, রিয়া স্রডার, আন্দ্রে হান ও মাল্টে কৌফমান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ-জার্মানি সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, জলবায়ু অভিযোজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশে নারীদের অগ্রগতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে জার্মানির বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে জার্মানি স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিগত ৫০ বছরে অনন্য উচ্চতায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। স্পিকার বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ এবং জলবায়ু অভিযোজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সরকারের মূল লক্ষ্য। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে জার্মানির অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

রিনেট কুনাস্ট বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব বিবেচনায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ দেশ। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বহিঃপ্রকাশ। কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা স্থিতিশীল রয়েছে, যা প্রশংসনীয়।

বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করে রিয়া স্রডার বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণ সবার দায়িত্ব।

সাক্ষাৎকালে পোশাকশিল্প খাতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে পল লারিডার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকার পোশাকশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে।

অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা অনেক বেশি। পাশাপাশি পোশাক কারখানাগুলোর কমপ্লায়েন্স অনুসরণ নিশ্চিত করেছে সরকার।