ইসি নিয়োগে নাম প্রস্তাবকারীর তথ্য না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রিটের আদেশ আজ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কে কার নাম প্রস্তাব করেছে—সেই তথ্যাদি না জানানোর সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে করা রিটের ওপর আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এই দিন ধার্য করেন।
গত ২৩ জুন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ চার বিশিষ্ট নাগরিক ওই রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তানিম হোসেইন ও সাইফুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান।
আইনজীবীর তথ্যমতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি সুপারিশে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের পূর্ণ তথ্য এবং কে কার নাম প্রস্তাব করেছে—সেসব তথ্য চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অধিকার অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদার। এ বিষয়ে কোনো তথ্য সরবরাহ করার এখতিয়ার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নেই জানিয়ে গত ১ মার্চ অপারগতা প্রকাশ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন সুজন সম্পাদক। নির্ধারিত সময়ে এর জবাব না পেয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন তিনি। তবে যাচিত তথ্য প্রদানযোগ্য নয় উল্লেখ করে গত ৭ জুন অভিযোগ খারিজ করে দেয় তথ্য কমিশন। এ অবস্থায় ৭ জুনের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, কে কার নাম প্রস্তাব করেছে, সেসব তথ্যাদি না দেওয়াসংক্রান্ত ৭ জুনের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। তথ্য কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্নভাবে ৩২২ জনের নামের প্রস্তাব আসে অনুসন্ধান কমিটির কাছে। নামগুলো ১৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তবে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কারা এসব ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করেছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশের জন্য ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে অনুসন্ধান কমিটি। ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয় অনুসন্ধান কমিটি। পরে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়া হয়।