ইভিএম মেরামত নিয়ে বিএমটিএফের সঙ্গে ইসির বৈঠক
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন মেরামতের বিষয়ে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের (বিএমটিএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।
নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনেছিল। এসব ইভিএমের মধ্যে এখন প্রায় ৪০ হাজার যন্ত্র নষ্ট। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএমেরও মেরামত প্রয়োজন বলে বিএমটিএফ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আগেই জানিয়েছিল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইসির সঙ্গে বৈঠকে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এসব যন্ত্র মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা খরচ হবে।
উল্লেখ্য, ইসিকে ইভিএম যন্ত্র সরবরাহ করেছিল বিএমটিএফ।
২০ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেটসংক্রান্ত বৈঠকে ইভিএম মেরামতের জন্য ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি তোলে ইসি সচিবালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কত ইভিএমের মেরামত লাগবে, কোন খাতে কত খরচ হবে, সেটির বিস্তারিত জানাতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিএমটিএফের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে সাংবাদিকেরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তাঁরা দুজনই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, ইভিএমের গুণগত মান যাচাইয়ে (কোয়ালিটি চেকিং) কয়েক ধরনের সমস্যা (কোয়ালিটি ফেল) দেখা গেছে। বিএমটিএফ সেগুলো মেরামতে যে অর্থ চেয়েছে, সেটি আরও পর্যালোচনা করা হবে। এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অধীনে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছিল। ওই প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের জুনে শেষ হবে। মাত্র চার বছরের ব্যবধানে এসব যন্ত্রের পেছনে আরও হাজার কোটি টাকা খরচ করার প্রয়োজন কেন দেখা দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।