অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে গাড়ি দেখিয়ে টাকা নিতেন তাঁরা

গাড়ি বিক্রির নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গুলশানের নিকেতন এলাকা থেকে এ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাবছবি: সংগৃহীত

নামীদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি বিশাল মূল্যছাড়ে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতেন ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটে। লোভনীয় এসব বিজ্ঞাপন দেখে লোকজন যোগাযোগ করলে গাড়ি ও কাগজপত্র দেখিয়ে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিতেন। এরপর আর গাড়ি না দিয়ে একপর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতেন।

এ অভিযোগে গুলশানের নিকেতন আবাসিক এলাকা থেকে হারুনুর রউফ খান মজলিশ ওরফে মুন (৪২) ও পার্থ বিশ্বাস নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হারুনুর রউফ প্রতারণার এই চক্র গড়ে তুলেছিলেন।

এতে তাঁর সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন পার্থ। বুধবার রাতে নিকেতনের মুন অটোমোবাইলস নামের একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই, ভাউচার, প্যাড ও সিল উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব-১–এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হারুনুর রউফ বলেছেন, তিনি ২০১০ সালে নিকেতনে মুন অটোমোবাইলস চালু করেন। পরে তিনি বিক্রয় ডটকম ও ফেসবুক ব্যবহার করে তাঁর ব্যবসার প্রসার ঘটান। তিনি প্রথমে নামীদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি কম দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন। ক্রেতারা লোভনীয় বিজ্ঞাপনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে গাড়ি পছন্দ সাপেক্ষে গাড়ির কাগজপত্র দেখিয়ে দুই-তিন লাখ টাকা এবং শুল্ক পরিশোধ বাবদ এক থেকে দুই লাখ টাকা নিতেন তিনি। বাকি টাকা গাড়ি সরবরাহের সময় পরিশোধের চুক্তি হতো। পরে নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি সরবরাহ না করায় ক্রেতারা গাড়ির জন্য চাপ দিলে তিনি পরিচিত বিভিন্ন গাড়ির শোরুমে নিয়ে গিয়ে গাড়ি দেখিয়ে আরও সময় নষ্ট করতেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা নোমান আহমদ বলেন, ক্রেতারা যখন ওই সব শোরুমে গাড়ির জন্য যোগাযোগ করতেন, তখন শোরুম কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে গাড়ি বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানাতেন। ক্রেতারা হারুনুরকে ফোন দিলে তিনি টাকা ফেরত দিতে দুই-তিন দিনের সময় নিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দিতেন। এরই মধ্যে তিনি মুঠোফোন নম্বর পরিবর্তন করে ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতেন।