চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন মাঝপথে বিকল হয়েছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচং স্টেশন এলাকায় ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়। পরে বিকল্প ইঞ্জিন আনা হলে রাত পৌনে ১১টায় ট্রেনটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

ইঞ্জিন বিকলের ঘটনায় ট্রেনের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। কী কারণে ট্রেন থেমেছে, তা নিয়ে শুরুতে যাত্রীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। পরে ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা জানতে পারেন তাঁরা।

আঁখি আশরাফ নামের এক যাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ ট্রেন থেমে যাওয়ায় উদ্বেগে পড়ে যান। কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, তা নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কেননা, তাঁর সঙ্গে তাঁর মা–বাবা ও সন্তানেরা আছেন।

শাহাদাত হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, ঢাকায় রাত ১১টায় তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল। কিন্তু ইঞ্জিন বিকলের কারণে ট্রেন ঢাকায় পৌঁছাতে বিলম্ব হবে। তাই কাজটাও আর হবে না।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। রাত ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছার কথা। অর্থাৎ ৫ ঘণ্টা ১০ মিনিটে পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় ট্রেনের গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্টেশনমাস্টার রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় ট্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে অন্য আরেকটি ইঞ্জিন এনে ট্রেন চালু করা হয়।