পরিচিত অপরাধীদের দেশ ছাড়তে দিয়ে ‘মিথ্যা’ গণমামলায় শিল্পী, সাংবাদিকদের জড়ানো হচ্ছে

অন্তর্বর্তী সরকারের ৯ মাসে জুলাই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে প্রয়োজনীয় অগ্রগতি হয়নি অভিযোগ করে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। তারা বলেছে, পরিচিত অপরাধীদের দেশ ছাড়তে দিয়ে হত্যার ‘মিথ্যা’ গণমামলায় লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ অসংখ্য মানুষকে জড়ানো হচ্ছে।

আজ সোমবার গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষ থেকে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান। সেখানেই এসব কথা বলা হয়। অবিলম্বে জুলাই হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা এবং নাগরিক হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, চিহ্নিত ‘রাঘববোয়ালরা’ এখনো আইনের আওতার বাইরে। অনেককে বিদেশে চলে যেতে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের দীর্ঘসূত্রতা ও রহস্যজনক ভূমিকা জনমনে গভীর হতাশা তৈরি করছে এবং ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করছে।

অন্যদিকে ‘মিথ্যা’ গণমামলায় অভিনয়শিল্পী নুসরাত ফারিয়া, সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌসসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, অভিনয় শিল্পী ইরেশ যাকের, রাজনৈতিক নেত্রী লাকী আকতারসহ আরও অনেককেই হাস্যকর মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এই হয়রানি নৃশংস জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচারের জনদাবির প্রতি চরম প্রতারণা।

প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার জন্য এই মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে বলেও মনে করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। তারা বলছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু ন্যায়বিচারকে বাধাগ্রস্ত করে না, বরং দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসনের প্রতিও চরম অবমাননা। এ পরিপ্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি চারটি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো, অবিলম্বে জুলাই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সম্পন্ন করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে; লেখক, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, নির্মাতা, রাজনৈতিক কর্মীসহ হয়রানির শিকার সব ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; জুলাই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে এবং বিচারপ্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে হবে।