২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও সংরক্ষণের অনুমোদন

পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীণ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প
ফাইল ছবি

পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও সংরক্ষণের অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দুটি প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাবনার একটি রিসোর্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য আলাদা লাইসেন্স দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নির্দেশনা অনুযায়ী শর্ত পূরণ করায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিএইআরএ) বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে জ্বালানি আমদানি ও সংরক্ষণের লাইসেন্স দিয়েছে। অপরদিকে জ্বালানি পরিবহনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানকে।

বিএইআরএর নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি স্ট্রাকচার উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সত্যজিৎ ঘোষ বলেন, এই অনুমোদন বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পারমাণবিক জ্বালানি আমদানির সক্ষমতা পেল।

সত্যজিৎ ঘোষ বলেন, পরমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশে পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বিএইআরএর কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। এক বছর ধরে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের পর দুটি প্রতিষ্ঠানকে এই লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

বিএইআরএর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, রুশ ফেডারেশনের পারমাণবিক শক্তি তদারক সংস্থা রোসটেকনাদজোরের ডেপুটি চেয়ারম্যান, রূপপুরের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটমের উপপরিচালক এ ওয়াই পেত্রোভ এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অশোক কুমার পাল।

অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও সংরক্ষণের লাইসেন্স প্রদানের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরু থেকেই বাংলাদেশ আইএইএর গাইডলাইন অনুসরণে কাজ করে যাচ্ছে। তারা আমাদের পরামর্শ দিয়ে এবং আমাদের ভুল সংশোধন করে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে ভূমিকা রেখেছে।’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, ‘জ্বালানি আমদানি ও পরিবহনের ক্ষেত্রে আইএইএ-এর প্রজ্ঞাপন লাগে। রুশ ফেডারেশনের যে রপ্তানি নীতি, তার আলোকে অনুমতি লাগে। তার জন্য নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো, সাংগঠনিক অবকাঠামো, দক্ষতা ও জনবল তৈরি করতে হয়। সব শর্ত পূরণ করেই আমরা সংরক্ষণ, আমদানি ও পরিবহনের জন্য লাইসেন্স পেয়েছি।’

রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশের ইতিহাসে এককভাবে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালু হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালে। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে ২০২৫ সালে। দুই ইউনিট চালু হলে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।