স্বাস্থ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় গবেষণা

  • ১৫ বছরে গবেষণা হয়েছে ১ হাজার ২৫১টি।

  • একটি গবেষণার জন্য গড় বরাদ্দ ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৬১ টাকা।

  • গবেষক হিসেবে স্বাচিপের নেতাদের মধ্যে আছেন আ ফ ম রুহুল হক, ইকবাল আর্সলান, শারফুদ্দিন আহমেদ, আবদুল আজিজ, উত্তম কুমার বড়ুয়া।

স্বাস্থ্যে গবেষণাপ্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) থেকে প্রতিবছর গড়ে ৮৩টি গবেষণায় অর্থায়ন করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের করা হাজারের বেশি গবেষণা দেশের কোনো কাজে আসছে না। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এ প্রতিষ্ঠানের গবেষণা মূল্যহীন হয়ে পড়েছে।

দেশের চিকিৎসা গবেষণার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বিএমআরসি। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই ১৫ বছরে হওয়া গবেষণার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গবেষণার কাজগুলো দেওয়া হয় অনেকটা রাজনৈতিক বিবেচনায়। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, দলটির সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা ও কর্মী অনেক গবেষণাকাজ পেয়েছেন। ঘুষ দিয়ে কাজ পেতে হয়, এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।

বিএমআরসির সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবছর গবেষণার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। এরপর গবেষকের পরিচয় লুকিয়ে দুজন পর্যালোচকের কাছে সে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ইতিবাচক মন্তব্য পাওয়ার পর সে প্রস্তাব বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি ইতিবাচক মতামত দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে গবেষণা শুরু করার অনুমতি ও অর্থ দেওয়া হয়। যদিও অনেক ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিষয়ে জানা যায়।

বিএমআরসি স্বাস্থ্য খাতে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন গবেষণা হচ্ছে না।

গত ১৫ বছরে বিএমআরসির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনজন—অধ্যাপক এম এ মান্নান, অধ্যাপক মাহমুদ হাসান ও অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। এ সময়ে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক মো. হাবিবে মিল্লাত, মাহদুদ-উজ-জাহান, অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন ও অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত একই সঙ্গে বিএমআরসির চেয়ারম্যান ও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

১০ জানুয়ারি সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিএমআরসির চেয়ারম্যান হিসেবে গবেষণা-সংশ্লিষ্ট কোনো কাজে প্রভাব খাটানো সম্ভব নয়। গবেষণায় চেয়ারম্যানের দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই।

বিএমআরসির দায়িত্ব যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা গবেষণা বোঝেন না বলে মনে করেন প্রবীণ চিকিৎসক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা গবেষণা বোঝেন, তাঁরা বিএমআরসিতে ঢুকতে পারেন না। কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কিছু লোকের যোগসাজশে টাকা ভাগাভাগি করা হয়। রিপোর্ট লেখার নামে ‘কাট-পেস্ট’ হয়; যা হয় তার প্রায় সব কটি কোনো গবেষণা নয়। এগুলো যাচাই করার মতো জনবল এখানে নেই।

আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, দলটির সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা ও কর্মী অনেক গবেষণাকাজ পেয়েছেন। ঘুষ দিয়ে কাজ পেতে হয়, এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।

কত গবেষণা, কত টাকা

বিএমআরসি উন্নয়ন খাত ও রাজস্ব খাত থেকে গবেষকদের টাকা দেয়। গবেষকদের মধ্যে প্রায় সবাই চিকিৎসক। চিকিৎসকদের একটি অংশ স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী। তাঁদের শিক্ষার্থী পরিচয়ে গবেষণার অনুদান দেওয়া হয়।

বিএমআরসি ১৫ বছরে ১ হাজার ২৫১টি গবেষণায় অর্থায়ন করেছে, অর্থাৎ বছরে গড়ে ৮৩টি গবেষণায় অর্থ দেওয়া হয়। এ সময়ে গবেষণার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, অর্থাৎ একটি গবেষণার জন্য গড় বরাদ্দ ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৬১ টাকা। এ সময়ে ৪৪২ শিক্ষার্থী গবেষককে অনুদান দেওয়া হয়।

বরাদ্দের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষক মো. শাহ আরমান ২০০৯-১০ অর্থবছরে গবেষণার জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের বাইরে এটাই ছিল সবচেয়ে কম বরাদ্দ। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে এস এন অ্যাসোসিয়েটস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০-২১ সালে রাজধানীর আফতাবনগরের এ প্রতিষ্ঠানকে ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার দেওয়া হয় কোভিড-১৯ নিয়ে গবেষণা করার জন্য।

স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ মোটামুটি একই রকম। দুজন পেয়েছেন ৩৫ হাজার টাকা করে। অন্যরা ৪০ হাজার, ৫০ হাজার বা ৬০ হাজার টাকা প্রতিটি গবেষণার জন্য পেয়েছেন।

৫০ হাজার টাকায় একজন গবেষণা করেছেন। অধিকাংশ গবেষণার জন্য দেড় লাখ, দুই লাখ বা তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। পাঁচ লাখের বেশি টাকায় গবেষণা হয়েছে মাত্র চারটি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এত কম বরাদ্দ চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য বিষয়ে ভালো কোনো গবেষণা কি সম্ভব?

সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, এত অল্প টাকায় মানসম্পন্ন গবেষণা সম্ভব নয়। যদিও আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তাঁকে স্বাস্থ্য খাতের প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে ও নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় দেখা গেছে। তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা।

যাঁরা গবেষণা বোঝেন, তাঁরা বিএমআরসিতে ঢুকতে পারেন না। কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কিছু লোকের যোগসাজশে টাকা ভাগাভাগি করা হয়। রিপোর্ট লেখার নামে ‘কাট-পেস্ট’ হয়; যা হয় তার প্রায় সব কটি কোনো গবেষণা নয়। এগুলো যাচাই করার মতো জনবল এখানে নেই।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব

তালিকায় নার্স ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিএমআরসির কার্যালয়ের কাছে মহাখালীর সরকারি নার্সিং কলেজ। এ কলেজের ইনস্ট্রাক্টর ইসমত আরা পারভিন ২০১১-১২ সালে অ্যাজমা রোগীদের ইনহেলার ব্যবহার চর্চা করার বিষয়ে একটি গবেষণার জন্য আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ পান। এর পর থেকে এই জ্যেষ্ঠ নার্স পরপর আরও তিন বছর গবেষণার জন্য বরাদ্দ পেতে থাকেন। তিনি মোট পাঁচ অর্থবছরে পাঁচটি গবেষণার জন্য ১৩ লাখ টাকা পেয়েছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, তিনি চারটি গবেষণা করেছেন। গবেষণা প্রতিবেদন দেখতে চাইলে তিনি বলেন, একটি গবেষণা প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব। ব্যক্তিগত কম্পিউটার নষ্ট হওয়ায় অন্য গবেষণা প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব নয়।

অভিযোগ আছে, অনেকে সঠিকভাবে আবেদন করেও গবেষণার জন্য নির্বাচিত হতে পারেন না, অনুদান পান না। আবার কেউ কেউ বারবার অনুদান পান। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল মোট আটবার অনুদান পেয়েছেন, ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ ও চিকিৎসকজীবনে স্বাচিপের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।

কেউ একই বছরে দুবার অনুদান পেয়েছেন। এর মধ্যে আছেন বারডেম হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়তুন নেসা। ২০২০-২১ অর্থবছরে তিনি অটিজম বিষয়ে গবেষণার জন্য পাঁচ লাখ ও সাড়ে চার লাখ টাকার পৃথক অনুদান পেয়েছেন। তিনি মোট পাঁচটি গবেষণার জন্য অনুদান পেয়েছিলেন।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হকের নামও গবেষকদের তালিকায় আছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘ডিজিজেস স্ট্যাটাস অ্যামং দ্য পেশেন্টস অব টার্সিয়ারি হসপিটাল ইন বাংলাদেশ’ নামের প্রকল্পের জন্য পাঁচ লাখ টাকা পান। পরের অর্থবছরে ‘ডিজিজেস ক্লিনিক্যাল স্ট্যাটাস অ্যামং দ্য পেশেন্টস অব টার্সিয়ারি হসপিটাল ইন বাংলাদেশ’ নামের অন্য গবেষণার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পান।

রুহুল হক ১০ বছরের বেশি সময় ধরে স্বাচিপের সভাপতি ছিলেন। ওই সময় স্বাচিপের মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান। তালিকায় ইকবাল আর্সলানের নাম চারবার পাওয়া গেছে, অর্থাৎ তিনি চারটি পৃথক গবেষণা করেছেন। অনুদানের পরিমাণ ১৭ লাখ টাকা।

স্বাচিপের অন্তত ১০ জনের নাম এ তালিকায় আছে, যাঁরা গবেষণার জন্য বরাদ্দ পেয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দীর্ঘ সময়ের প্রভাবশালী পরিচালক ছিলেন উত্তম কুমার বড়ুয়া। একসময় প্রকাশ পায় স্বাচিপের এই নেতার এমবিবিএসে ভর্তির কাগজপত্র জাল ছিল। জানাজানির পর আওয়ামী লীগ সরকার তাঁকে চাকরিচ্যুত করে। বিএমআরসির তালিকায় দেখা যায়, উত্তম কুমার বড়ুয়া দুটি গবেষণার জন্য সাড়ে সাত লাখ টাকা অনুদান নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহাখালীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেন, বিএমআরসির গবেষণা দুই ধরনের মানুষকে পেতে দেখা গেছে। প্রথমত, স্বাচিপের সদস্য এবং দ্বিতীয়ত, যাঁরা ঘুষ দিতে পারেন। অন্য একজন বলেছেন, গবেষণার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয় এ অভিযোগ এনে তিনি বিএমআরসি বরাবর চিঠিও দিয়েছিলেন। অন্তত দুজন গবেষক বলেছেন, ভ্যাট-ট্যাক্সের ১৫ শতাংশ টাকা ছাড়াও কিছু নগদ টাকা দিয়ে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গবেষণার চেক নিতে হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএমআরসির দীর্ঘ সময়ের সাবেক পরিচালক মাহমুদ-উজ-জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়া প্রশাসনিক কাজে এবং অডিটের (নিরীক্ষা) প্রয়োজনের কিছু টাকা গবেষকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। তবে এটা ঘুষ নয়।

বিএমআরসিতে আমরা স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক ব্যর্থতার প্রতিফলন দেখতে পাই। এখানে টাকা খরচের অজুহাতে অনেক মূল্যহীন গবেষণা করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতির একটি দিক এখানে আছে। যাঁরা নেতৃত্বে বা নীতিনির্ধারণের পর্যায়ে ছিলেন, তাঁরা বিষয় হিসেবে গবেষণাকে গুরুত্বই দেননি। এটি স্বাস্থ্য পেশাজীবীদেরও বড় ধরনের ব্যর্থতা।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান

গবেষণা প্রতিবেদন পড়ে থাকে

৬ জানুয়ারি বিএমআরসির পরিচালক মো. নুরুল হুদা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সাজেদুর রহমানের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁরা বলতে পারেননি, গবেষণা প্রতিবেদনগুলোর কতটি পরবর্তী সময়ে দেশি বা আন্তর্জাতিক সাময়িকীতে প্রবন্ধ আকারে ছাপা হয় বা হয়েছে। এসব গবেষণার ফলাফলকে কেন্দ্র করে সরকার কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে কি না বা নীতিবিষয়ক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না, তা তাঁরা জানেন না।

গবেষকেরা গবেষণা প্রতিবেদনের চারটি অনুলিপি বিএমআরসিতে জমা দেন। সেগুলো লাইব্রেরিতে ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পড়ে আছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব গবেষণা প্রতিবেদন দেখার জন্য অন্য কোনো গবেষক বা সাধারণ মানুষ আসেন না। এসব গবেষণার ফলাফল নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে কোনো আলোচনা হতে বা গণমাধ্যমে বড় কোনো খবর হতে দেখা যায়নি। অনেকে মনে করেন, অধিকাংশ গবেষণা নিম্নমানের, অপ্রাসঙ্গিক। কিছু গবেষণার কোনো দরকারই ছিল না। বছরের পর বছর এমন চলছে। কেউ পরিবর্তনের কথাও বলছেন না, উদ্যোগও নিচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএমআরসিতে আমরা স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক ব্যর্থতার প্রতিফলন দেখতে পাই। এখানে টাকা খরচের অজুহাতে অনেক মূল্যহীন গবেষণা করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতির একটি দিক এখানে আছে। যাঁরা নেতৃত্বে বা নীতিনির্ধারণের পর্যায়ে ছিলেন, তাঁরা বিষয় হিসেবে গবেষণাকে গুরুত্বই দেননি। এটি স্বাস্থ্য পেশাজীবীদেরও বড় ধরনের ব্যর্থতা।’